সুখের খোঁজে ৩০ বছর পার প্রতিবন্ধী আলিমের
পরিবার ছেড়ে গেলেও ৫ ওয়াক্ত নামাজ ছাড়েননি কখনো
হাত পা সবই আছে তার তবে আচল। হাটতে চলতে পারেননা ঠিক ভাবে। জন্ম থেকে শরীরিক প্রতিবন্ধী আব্দুল আলিম। সব থেকেও যেন কিছুই নেই তার।৫৫ বছর বয়সি আব্দুল আলিম শত কষ্টের পরেও বারবার শুকরিয়া আদায় করতে দেখা যায় তাকে।।
চট্টগ্রামের বটতলী স্টেশনে ছাউনিতে থাকেন আব্দুল আলিম। ৩০ বছর ধরে চটগ্রাম নগরীর বিভিন্ন যায়গায় ভিক্ষা করে সংসার চালান তিনি। । ছেলেকে লেখাপড়া করিয়েছেন মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। সবকিছু করেছেন এ বাড়ি ওবাড়ি ভিক্ষা করে। এখন স্ত্রীও আলাদা থাকেন, আলাদা থাকেন ছেলেমেয়েরাও। পরিবার ছেড়ে গেলেও ৫ ওয়াক্ত নামাজ ছাড়েননি কখনো।শত লাঞ্চনা আর বঞ্চনার পরেও দমে যাননি এ অদম্য মানুষটি। ইচ্ছে ছিল ছেলেমেয়েরা মানুষের মত মানুষ হবে, একদিন দুঃখ আর থাকবেনা তার। একটা সময় আর ভিক্ষা করবেন না তিনি। তবে সেই স্বপ্ন পূরণ হলোনা আব্দুল আলিমের। স্বপ্নগুলো যেন অধরাই থেকে গেল।
চট্টগ্রামের বটতলী স্টেশনে টং দোকানি সবুজ মিয়া বলেন,আলিম ভাই অনেক দুঃখী মানুষ ঝড় বৃষ্টিতে স্টেশনে ছাউনিতে থাকেন। এই এক জায়গায় পার করে দিয়েছেন ৩০টি বছর। যেখানে ঘুমান সেখানে তাকে বৃষ্টিতে ভিজতে দেখেন অনেকেই।
অশ্রুভেজা নয়নে আক্ষেপ নিয়ে আব্দুল আলিম বলছিলেন, এমন জীবন যেন কারো না হোক।
তিনি আরও বলেন, ভিক্ষা করতে লজ্জা লাগে। যদি কোন স্বহৃদয়বান ব্যক্তি তাকে পান দোকানের ব্যবসা ধরিয়ে দিতেন তবে তিনি আর ভিক্ষা করতেন না।
তিনি আরও বলেন, হাটতে পারিনা দুঃখ নেই তবে যদি আমাকে কেউ একটা হুইল চেয়ার কিনে দিত তাহলে আমি রুটি রুজির ব্যবস্থা করতে পারতাম। সমাজের মানুষের কাছে একটাই চাওয়া, এখন তিনি একটু ভালোভাবে বাঁচতে চান।