চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে হচ্ছে দেড় শ শয্যার বার্ন ইউনিট। চীনের অর্থায়নে প্রকল্পের সম্পূর্ণ কাজ। এই প্রকল্পে চীনের সাথে চলতি বছরের ৩০ মার্চ চূড়ান্ত চুক্তি সম্পন্ন হয়। তবে চুক্তি ৩ মাস পেরিয়ে গেলো এখনো সীমানা প্রাচীর নিমার্ণ ছাড়া কোন অবকাঠামোর দৃশ্য হয়নি।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দেখা যায়, চমেক হাসপাতালের গোঁয়াছি এলাকা জনশূন্য পড়ে রয়েছে। শতাধিক স্থাপনা সরানোর পর জায়গাটি শুনশান হয়েছে। প্রায় এক একর জায়গায় ইট – পাথর পড়ে রয়েছে। কোনো নতুন কাজ চোখে পড়ে নি। তবে চট্টেশ্বরী দিকে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ চলছে। সেখানে ৪- ৫ জন শ্রমিক কাজ করছে।
প্রকল্প কাজে ধীরগতি নিয়ে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান চট্টলার খবরকে বলেন, এখনও কাজ শুরু হয়নি। সেখানে স্থাপনা সরানো হলেও মাটির তলায় বিল্ডিংয়ের ফাউন্ডেশনের অংশ রয়ে গেছে। সেগুলো সরানোর কাজ চলছে। সেসব স্থাপনা সরানো ও গাছ কেটে পরিষ্কার করা হবে। আমাদের দিক থেকে সব ঠিক থাকলে তারা লোক পাঠাবে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি নেওয়ারও ব্যাপার আছে। সেগুলোর কাজ চলমান রয়েছে। যততত্র ইট ছড়িয়ে রয়েছে তা সরানো হচ্ছে। তবে চারপাশে দেয়াল এবং মূলফটকের কাজ চলছে। ঠিক কখন শুরু হবে নির্ধারিত করে বলা মুশকিল।
এর আগে, ২৮ ফেব্রুয়ারি চমেক হাসপাতালে প্রকল্প স্থান পরিদর্শন করে ৫ সদস্যের চীনা প্রতিনিধি দল। পরে দফায় দফায় চমেক হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেয় দলটি। গত ২১ মার্চ গোঁয়াছি বাগানে শতাধিক স্থাপনা সরানো হয়। এরপর ৩০ মার্চ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চূড়ান্ত চুক্তি সম্পন্ন করা হয়।
উল্লেখ্য , চমেক হাসপাতালে পেছনে গোঁয়াছিবাগান এলাকায় প্রায় এক একর জায়গায় নির্মাণ করা হবে বার্ন ইউনিট। প্রকল্পটিতে ১৫০টি শয্যা থাকবে। তার মধ্যে ২০টি আইসিইউ, শিশুদের জন্য ৫টি আইসিইউ, এইচডিইউ ২৫টি, অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার করা হবে ২টি। রোগী আনা-নেওয়ার সুবিধার জন্য তিনটি রাস্তা বানানো হবে। চট্টেশ্বরী রোডের দিক থেকে একটি রাস্তা হবে। সেটি হবে বার্ন হাসপাতালের প্রধান রাস্তা। চমেক হাসপাতালের পেছনে ছাত্র হোস্টেলের দিক থেকে আসবে আরও একটি রাস্তা। সর্বশেষ রাস্তাটি হবে মিজান হোস্টেলের দিক দিয়ে। সেখানে মাঝখানে পাহাড় থাকায় তা ঘুরিয়ে ওয়ার সিমেট্রি হয়ে আনা হবে।
হাসপাতালটি ৬তলা ভবনের করা হবে। প্রথম তলায় থাকবে ইর্মাজেন্সি ওয়ার্ড এবং ওপিডি, দ্বিতীয় তলায় তিনটি ওটি (অপারেশন থিয়েটার) এবং নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ), তৃতীয় তলায় সম্পূর্ণ হাই ডিপেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ), ৪র্থ, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলায় ওয়ার্ড এবং অফিস।
নচ/মআ/চখ