chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

পেঁয়াজের দাম পাইকারীতে বাড়লো ৮ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাজেটে পেঁয়াজ আমদানিতে পাঁচ শতাংশ শুল্কারোপ করার প্রস্তাব করার সঙ্গে সঙ্গে পাইকারী পর্যায়ে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম ৭ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিত্বে অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা শিরোনামে বাজেট প্রস্তাব পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

এতে নতুন করে পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্কারোপ করা হয়। এ কথা শুনার পরপর ভোগ্যপণ্যের অন্যতম পাইকারী বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ৭ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যায়।

খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজ আমদানীকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এহসান জাহেদ বলেন, বাজেট ঘোষণার পরপর বৃহস্পতিবার বিকেলে খাতুনগঞ্জের পাইকারী আড়তে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ৭ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যায়।

খাতুনগঞ্জের পাইকারী আড়তদার কাজী স্টোরের স্বত্তাধিকারী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, গত শনি-রোববারে ভারতের নাসিক পেঁয়াজ ১৮ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার সকালেও সেই পেঁয়াজ দাম বেড়ে ২৬ থকে ২৭ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

তিনি বলেন, বাজারে এখন দেশীয় কোন পেঁয়াজ নেই। ভারতের নাসিকের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। বাজেট ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে আরেক দফায় ৭ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। পাইকারী পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম বাড়ার খবর খুচরা বাজারে প্রভাব পড়েছে। খুচরাই আগে ২৫-৩০ টাকায় কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়েও শুক্রবার থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

জামালখান এলাকার বাসিন্দা আবু সালেহ বলেন, দুইদিন আগে পেঁয়াজের দাম ছিল ৩০ টাকা। শুক্রবার সেই পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে ৪০ টাকায়।

বৃহস্পতিবারের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে প্রচুর পেঁয়াজের চাষ হচ্ছে। কিন্তু আমদানিকৃত পেঁয়াজের শুল্কহার বিদ্যমান থাকায় দেশীয় পেঁয়াজ চাষিরা উৎপাদন ব্যযের তুলনায় ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে ভবিষ্যতে পেঁয়াজ চাষের ক্ষেত্রে চাষিরা নিরুৎসাহিত হতে পারে। তাই দেশের পেঁয়াজ চাষিদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ ও পেঁয়াজ চাষে উৎসাহ প্রদান এবং আমদানির ওপর নির্ভরতা হ্রাসের লক্ষ্যে পেঁয়াজ আমদানিতে কিছুটা আমদানি শুল্ক আরোপ করার প্রস্তুাব করছি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে ফারাক মাত্র দুই লাখ টনের। বছরে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় ২৩ লাখ টনের ওপরে। আর চাহিদা রয়েছে ২৪ থেকে ২৫ লাখ টনের। তারপরও শুধু নষ্ট হওয়ার কারণে বছরে আট থেকে দশ লাখ টন পেঁয়াজ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।

এই বিভাগের আরও খবর