এক হাতে ট্রাফিক সংকেত,অন্যহাতে ইফতারী
আগ্রাবাদ কী ইস্পাহানি, ওয়াসার মোড় বা টাইগার পাস, হোক জিইসি কিংবা ইপিজেড মোড়। অথবা ধরা যাক সরকারি-বেসরকারি দফতর, একাধিক স্কুল-কলেজ- ইউনিভার্সিটি, আদালত, ক্রীড়া সংস্থার মাঠ, হাসপাতাল, রকমারি দোকানপাট, শপিং মল! রাস্তার দুই দিকে সামান্য এগোলে ‘পর বেসরকারি বাসস্ট্যান্ড। নিয়ম ভেঙে মূল রাস্তার উপরেই যাত্রী তোলা-নামার প্রবল ইচ্ছা তাদের। ওদিকে হকাররা চায় ফুটপাত দখল করে নিজের বিকিকিনি বাড়াতে। এদিকে বেড়েছে রিক্সা, সিএনজি আর প্রাইভেট গাড়ির দৌরাত্ম্যও।
নাগরিক সভ্যতার এই নিত্যদিনের hustle and bustle এর ভীড়ে আমরা একেবারে ভুলে যাই ‘ট্রাফিক-পুলিশ’ নামক একটি সত্তার কথা। চৈত্রের এই ত্রাহিত্রাহি মধ্যাহ্নে যখন সামান্য পথে নামলেই আমাদের নাভিশ্বাসের জোগাড়, তখন সারাদিন রোজা রেখে, রোদ-ঝড়-বৃষ্টি-ধোঁয়া-ধুলোবালি আর উচ্চ শব্দ মাথায় করে বিরতিহীন দাঁড়িয়ে রাস্তায় ডিউটি করা ট্রাফিক পুলিশটির কথা কখনো কি ভেবে দেখেছি আমরা?
যানবাহনের দখলে থাকা রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে বিরতিহীন হর্ন-আওয়াজ-চেঁচামেচি-কোলাহলের আইল্যান্ডে ডিউটিরত ঐ ট্রাফিক পুলিশটির ক্ষুধা-তৃষ্ণা ভীষণভাবে প্রকট, ওর ক্লান্তি নির্জলা সত্য আর দিনান্তে অবসাদ ভয়ংকরভাবে বাস্তব। তবুও নাগরিক স্বাছন্দ্য নিয়ে আমাদের যাদের বিস্তর অভিযোগ, তাঁদের বিনীতভাবে জানাচ্ছি, আপনি যাতে সঠিক সময়ে বাড়ি পৌঁছে পরিবারের সঙ্গে ইফতার করতে পারেন, সে জন্য দিনের পর দিন পরিবার ছেড়ে মধ্য-সড়কে দাঁড়িয়েই ইফতার করছেন তারা। হয়তো মেলে না বসার সুযোগটিও!
তাঁদেরকে অক্লান্ত পরিশ্রমে নিয়ন্ত্রনে থাকে নিরাপদ সড়ক। হয়তো ‘ধন্যবাদ’ না পাওয়া নিরব এই কর্মবিরদের যথা যথ সম্মান দেবে এমন টাই আশা গন্তব্যে ছুটে চলা যাত্রীদের ।
জুইম।/চখ