chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

তিন মাসে অর্ধশতাধিক সিএনজি চুরি: অবশেষে ধরা বাবুল

চট্টগ্রাম নগরীর মোমিন রোডের শাহ আমিন (রঃ) জামে মসজিদের সামনে থেকে চুরি যাওয়া একটি সিএনজি উদ্ধারে নেমে সংঘবদ্ধ চোর চক্রের অন্যতম হোতা মো. বাবুলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।

গেল তিন মাসে অন্তত অর্ধশতাধিক সিএনজি চুরির পর গতকাল সোমবার (৩ এপ্রিল) রাতে ধরা পড়ে এ কৌশলী সিএনজি চোর। নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন মনসুরাবাদ এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পরে তার দেয়া তথ্যমতে চান্দগাঁও থানাধীন বাহির সিগন্যাল বেপারী পাড়া ইসমত আলী সেরাং বাড়ীর পাশে করিম সওদাগর এর খালি প্লট হতে সর্বশেষ চোরাইকৃত সিএনজিটি উদ্ধার করে টিম কোতোয়ালী।

গ্রেফতার বাবুল নোয়াখালী জেলা হাতিয়া থানা সোনাদিয়া, মহিউদ্দিনের বাড়ীর বাসিন্দা মৃত আমিনুল হকের ছেলে।

পুলিশ জানায়, মূলত সিএনজি ছিনতাইয়ের পর ফোনে মালিকের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে ফেঁসে গেছেন চোর বাবুল। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান সনাক্তের পর অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ঘটনার বিবরণে পুলিশ জানায়, গত ২৬ মার্চ দুপুর একটার সময় নগরীর মোমিন রোডস্থ শাহ আমিন (রঃ) জামে মসজিদের সামনে পাকা রাস্তার উপর সিএনজি গাড়ীটি রেখে নামাজ পড়তে যান চালক আমির হোসেন।

নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হয়ে দেখেন তার সিএনজিটি উধাও। পরে আশে পাশের সকল স্থানে খোজাখুজি করেও সিএনজির কোন হদিস মেলেনি। ঘটনাটি মালিক মো. গোলাম কিবরিয়াকে মোবাইলে খুলে বলেন। তিনিও গাড়িটি খুঁজতে থাকেন।

এক পর্যায়ে চালক আমির হোসেনের ফোনে অজ্ঞাত একটি নাম্বার থেকে কল করে সিএনজির মালিকের নাম্বার চাই। নাম্বার দিলে মালিককে ফোন করে গাড়ি তাদের হেফাজতে আছে জানিয়ে ফিরে পেতে এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।

না দিলে গাড়ীর পার্টস খুলে বিক্রি করবে এবং কর্ণফুলী নদীতে ডুবিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। চাঁদার টাকা জোগাড় করতে না পেরে গতকাল মঙ্গলবার মালিক গোলাম কিবরিয়া কোতোয়ালী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মামলার সূত্র ধরে সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতোয়ালী জোন)র নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি টিম নিয়ে চোরাই সিএনজি উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। অভিযানে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে অজ্ঞাতনামা আসামীদের সনাক্ত করা হয়।

নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন মনসুরাবাদ এলাকা হতে প্রথমে মো. বাবুল (৪৫)কে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে চান্দগাঁও বাহির সিগন্যাল এলাকা হতে চোরাইকৃত সিএনজিটি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করে কোতোয়ালী ইন্সঃ তদন্ত রুবেল হাওলাদার জানান, আটক বাবুল সংঘবদ্ধ সিএনজি চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তার কাছে চাবি ছাড়া দ্রুত গাড়ী স্টার্ট দেওয়া অভিজ্ঞতা রয়েছে।

বাবুল তার সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যসহ সিএনজি নিয়ে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরি করে। সুযোগ বুঝে রাস্তার পাশে পার্কিং করা সিএনজি মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে স্টার্ট দিয়ে চলে যায়।

এরপর চালক কিংবা মালিকের নাম্বার সংগ্রহ করেেএক লাখ থেকে ২ লাখ টাকা টাকা পর্যন্ত চাঁদা দাবি করে। টাকা পেলে গাড়ীটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশে রেখে চলে যায়।

এভাবে গেল ৩ মাসে অন্তত ৫০টিরও বেশি সিএনজি চুরি করেছে সংঘবদ্ধ চক্রটি। বাবলুকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চক্রটির অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। চোরাই চক্রের সহযোগীদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হবে বললেন ওসি তদন্ত।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর