chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

মোসলেম উদ্দিন কর্মী থেকে রাজনৈতিক নেতা হয়েছেন: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বর্তমানে অর্থ দিয়ে রাজনীতি কেনার অপচেষ্টা হয়, পদ-পদবি নিয়ে এসে নেতা হবার অপচেষ্টা করা হয়।

কিন্তু মোসলেম উদ্দিন ছিলেন রাজপথ থেকে গড়ে উঠা নেতা, তিনি পদ-পদবী নিয়ে রাজনৈতিক নেতা হন নাই, কর্মী থেকে রাজনীতির নেতা হয়েছেন।

আমাদের দলের জেলা পর্যায়ে এ ধরনের নেতারাই আছেন। এবং তারা আমাদের দলের জন্য সম্পদ, তারাই এই দলটাকে ধরে রেখেছেন।

শনিবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় সদ্য প্রয়াত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও মোসলেম উদ্দিন আহমদ এমপি’র শোক সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অসময়ে আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেছেন দলের ত্যাগী নেতা মোসলেম উদ্দিন। তিনি দীর্ঘ দু’বছর ক্যান্সার আক্রান্ত ছিলেন, কিন্তু তিনি না বলা পর্যন্ত তাঁর কর্মতৎপরতা দেখে কেউ কখনো ভাবতে পারেননি তিনি ক্যান্সার আক্রান্ত।

মোসলেম উদ্দিন আহমদের জীবন থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে, কারণ তিনি কর্মী থেকে নেতা হয়েছেন। কর্মীদের সাথে কিভাবে মিশতে হয়, একাকার হয়ে যেতে হয়, তার রাজনৈতিক জীবন থেকে বর্তমানে রাজনৈতিক কর্মীদের অনেক কিছু শেখার আছে -বলেন তথ্য মন্ত্রী।

মোসলেম উদ্দিন আহমদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মোসলেম উদ্দিন আহমেদ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। যুদ্ধকালীন সময়ে আমাদের প্রয়াত আরেক নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথে তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন।

তারপর দুজনেই পাগলের অভিনয় করে তারা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাত থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। মুক্তি পাবার পর আবার মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন।

জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ সম্পর্কে বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনে না আসলে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে বিএনপি। তবে বিএনপি নির্বাচনে না আসলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উকিল আব্দুস সাত্তারের মত বিএনপির কত শত আব্দুস সাত্তার তৈরি হয়ে আছে নির্বাচনে আসার জন্য। বিষয়টিও মাথায় রাখার জন্য গয়েশ্বর বাবুসহ বিএনপি নেতাদের অনুরোধ জানাই।

তিনি বলেন, কাগজে দেখলাম বিএনপির স্থায়ী কমিটির অস্থায়ী সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আগামী নির্বাচনে নাকি বিএনপি না আসলে আওয়ামী লীগ অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে।

২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে আসে নাই, আওয়ামী লীগ অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়ে নাই, বিএনপিই অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে। ২০১৮ সালে বিএনপি নির্বাচনী ট্রেনের পা দানিতে চড়ে নির্বাচনে গিয়েছিল, এবং মাত্র ছয়টি সিট পেয়েছিল।

আওয়ামী লীগের কোনো অসুবিধা হয় নাই, বরং বিএনপিই অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সব সদস্য অস্থায়ী শুধুমাত্র বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান স্থায়ী। আর সব সদস্য অস্থায়ী -বলেন তথ্যমন্ত্রী।

চট্টগ্রাম নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ যৌথভাবে এই শোক সভার আয়োজন করেন।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি।

প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি।

শোক সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, হুইপ শামসুল হক চৌধুরী এমপি, আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম প্রমুখ।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর