chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

সাংবাদিক হেনস্তার প্রতিবাদে চবিসাসের কলম বিরতি

পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় হেনস্তার শিকার ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে অবস্থান কর্মসূচি ও কলম বিরতি পালন করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) সদস্যরা। ঘটনার ১৭ দিন পার হলেও তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন না দেওয়াকে প্রশাশনের ব্যর্থতা দাবি করেছেন সাংবাদিক নেতারা।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালিত করে চবিসাস। অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেন। এসময় চবিসাসের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা ও কর্মরত সাংবাদিকরা অংশ নেন। পরে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

কর্মসূচিতে ভুক্তভোগী সাংবাদিক মারজান আক্তার বলেন, ঘটনার ১৭ দিন পার হলেও কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি প্রশাসন। যারা আমাকে হেনস্তা করেছে তারা প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে তারা আমার ক্ষতিও করতে পারে। এর আগেও গত বছর সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনাগুলোর সঠিক বিচার করতে পারেনি প্রশাসন। আমাকে যারা হুমকি দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

এসময় চবিসাসের সভাপতি মাহবুব এ রহমান বলেন, ঘটনার পরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ প্রধান হেনস্তাকারীকে বহিষ্কার করে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, ছাত্রলীগ পারলে প্রশাসন কেন ব্যবস্থা নিতে পারছে না? প্রত্যেকটা হেনস্তাকারীর প্রমাণসহ ছবি আমরা প্রশাসনকে দিয়েছি। কিন্তু প্রশাসন আশ্বাসের নামে গড়িমসি করছে। এরই মধ্যে ১৭ দিন পার হয়ে গেছে। সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় হচ্ছে তাদেরকে উৎসাহ দেওয়ার শামিল। আজকের অবস্থান কর্মসূচি থেকে স্পষ্টভাবে বলছি, যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয় আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া বলেন, আন্দোলন করা সাংবাদিকেরা আমাদেরই শিক্ষার্থী। সবাই যেহেতু আমাদের শিক্ষার্থী, আমি অনুরোধ করব আন্দোলন করার দরকার নেই। আমরা তদন্ত কমিটির সঙ্গে বসব, যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্তকাজ শেষ হয়। অবশ্যই তদন্ত কমিটি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে কাজ করে যাচ্ছে।

গেল ৯ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের দাবিতে চলমান আন্দোলন করছিল শিক্ষার্থীরা। ওই সময় কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কর্তব্যরত সাংবাদিক মারজান আক্তারকে হেনস্তা ও তাঁর মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। তিনি সমকালের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি। পরে এ ঘটনার বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ, আল্টিমেটামসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করে আসছে চবি সাংবাদিক সমিতি।

 

আরকে/ সাআ / চখ