chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চমেকে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা, আসামি ৬০

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পুলিশের ওপর রোগীদের হামলার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এতে বিক্ষোভের সময় আটক মোস্তাকিমের নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও মামলায় ৫০ থেকে ৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) রাতে পাঁচলাইশ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন একই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান।

এর আগে দুপুর ১টার দিকে ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে চমেক হাসপাতালের প্রধান ফটকে বিক্ষোভ শুরু করেন কিডনি রোগী ও তাদের স্বজনরা। তারা হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনের সড়ক আটকে বিক্ষোভ করতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পৌঁছান। পরে পুলিশ তাদেরকে সড়ক ছেড়ে দিয়ে আন্দোলন করতে বললে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা এবং সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মো. সাইদ মোস্তাকিম নামের এক বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়।

আটকের বিষয়ে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভুক্তভোগী জান্নাত সিকদার বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিলাম। তখন এক পুলিশ সদস্য এসে রাঙামাটি থেকে আহত অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্সে পুলিশ আনা হচ্ছে উল্লেখ করে আমাদেরকে রাস্তা ছেড়ে দিতে বলেন। তখন আমরা বললাম, আমরা রাস্তা ছাড়বো না। তবে পুলিশের ওই অ্যাম্বুলেন্সটি এলে আমরা নিজ দায়িত্বে হাসপাতালে গেট অবধি পৌঁছে দেব। তারপর ওসি এসে আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করে, মহিলা- পুরুষ সকলকে ধাক্কা দিতে থাকেন। সেখানে আমরা তিন-চারজন মহিলা ছিলাম। আমাদেরও ধাক্কা দিচ্ছিলেন। তখন আমি ওসির সাথে কথা বলছিলাম। ওসি আমাকে বলছিলেন, তুমি সামনে আসো, মাস্ক খোলো। তুমি আমার সাথে কথা বলো, তোমার ভিডিও করবো, তোমার ভবিষ্যৎ নষ্ট করবো আমি’। পরে সরে দাঁড়িয়ে আমি এবং মোস্তাফিজ ভাইয়া মিডিয়াকে বলছিলাম। মহিলাদের কেন ভিডিও করা হবে, কেন গায়ে হাত তোলা হবে? এমন সময় ওই ওসি আবার এসে আমাকে বলেন, তুমি যা বলার আমাকে বলো, আমি ভিডিও করবো। তখন আমি বলি, মেয়েদের ওপর হাত তুলবেন কেন, ভিডিও করবেন কোন আইনে? তারপর মোস্তাফিজ ভাইয়া ওসির মোবাইল সরাতে গিয়ে গায়ে লেগে যায়। পরে হাতাহাতি হয়। তারপর ওই ভাইয়াকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এখনও ছেড়ে দেননি।

নচ/মআ/চখ

 

এই বিভাগের আরও খবর