chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চাকরি স্থায়ীর দাবিতে চসিকের নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধে করে বিক্ষোভ

দীর্ঘ দিনের আন্দোলনের পরও চাকরি স্থায়ীর সমাধান না পেয়ে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধে করে বিক্ষোভ করেছেন সিবিএ ও অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদের নেতারা। পরে মেয়রের আশ্বাস পেয়ে আড়াই ঘণ্টা পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সাড়ে ছয়টায় নগরের টাইগারপাসে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

সূত্র জানায়, দুপুরে চসিকের সিবিএ ও অস্থায়ী কর্মকর্তা কর্মচারী পরিষদের নেতারা চসিকের প্রধান নির্বার্হী কর্মকর্তা শহীদুল আলমের কার্যালয়ে দেখা করতে যায়। ওই সময় নেতারা চাকরি স্থায়ী হওয়ার অগ্রগতি বিষয়ে জানতে চায়। আলোচনার এক পর্যায়ে শহীদুল আলম চাকরি স্থায়ী বিষয়ে কিছু করার নেই বলে জানান। তিনি আরও জানান, মন্ত্রণালয়ে বাইরে তার কিছু করার নেই। এ খবর শোনার পর কার্যালয়ের বাইরে কর্মকর্তারা বিক্ষোভ করতে শুরু করেন। তারা এক পর্যায়ে স্লোগান দিতে থাকে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অস্থায়ী কর্মকর্তা কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক আবু তাহের বলেন, সর্বশেষ সাধারণ সভায় চসিক মেয়র ও কাউন্সিলরা চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে একমত হয়েছেন। আজ সকালে আমরা সে বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু শহিদুল আলম স্যার আমাদের চাকরি স্থায়ী করার বিষয়ে কিছু করার নেই বলে জানান। আমরা শুনেছি বেশ কয়েক দিন আগে তাঁর বদলির আদেশ এসেছেন। কিন্তু তিনি যেতে চাইছেন না। তিনি এ পদে থাকার জন্য তদবির চালাচ্ছে।

এক প্রশ্নে অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদের এই নেতা আরও বলেন, চিফ স্যারের কার্যালয়ে দেখার করার সময় কর্মচারীরা শান্ত ছিল। তিনি চাকরি স্থায়ী করার বিষয়ে কিছু করার নেই, বলার পর শ্রমিকরা ক্ষোভ জানাতে শুরু করে। তখন আমরা বলেছি চাকরি স্থায়ী করতে না পারলে আপনি বদলির আদেশ অনুযায়ী চলে যান। শ্রমিকরা শান্ত হয়ে যাব। মেয়র মহাদয়ের কারণে তিনি যেতে পারছেন না বলে জানায়। পরে আমরা মেয়র সাহেবের কার্যালয়ে যাই। মেয়র সাহেব বলেছেন, তিনি চলে যেতে চাইলে চলে যাক।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে বেশ দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন চসিকের অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদের নেতারা। গেল ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া চসিকের ২৩তম সাধারণ সভায় প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম আইন অনুযায়ী চ্কারি স্থায়ী করার প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সভায় উপস্থিত কাউন্সিলরা একযোগে এই প্রস্তাবের পক্ষে সম্মতি দেয়। এক পর্যায়ে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ক্রমন্বয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করার আশ্বাস দেন। তবে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে চাকরি স্থায়ী না হওয়ার পেছনে চসিকের প্রধান নির্বার্হী কর্মকর্তা শহিদুল আলকে দায়ী করা হয়।
এ ব্যাপারে বক্তব্যের জন্য চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদুলের আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

আরকে/

এই বিভাগের আরও খবর