chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

‘তারুণ্যের বিজয় ভাবনা’

আজ মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ থেকে ২০২২, ৫১ বছর হয়েছে বাংলাদেশ স্বাধীনতার। ডিসেম্বর এলেই মনে পড়ে যায় ১৯৭১ এর দিনগুলোর কথা। তবে স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয়ের কথা এ প্রজন্ম জেনেছে বই থেকে। বাংলাদেশের বিজয় নিয়ে তারা কতটুকু জেনেছে?

আরও পড়ুন

বিজয়ের এই দিনে জানা গেল এখনকার কিছু তরুণদের ভাবনা ও মত।বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের কিছু তরুণদের সঙ্গে কথা বলে বিজয়ের ভাবনা জানাচ্ছেন ক্যাম্পাস প্রতিনিধি জুলকার নাঈন।

আমরা কতটুকু স্বাধীনতা ধরে রাখতে পেরেছি’

শৈশব থেকেই গুরুজনের মুখে শুনেছি স্বাধীনতার গল্প। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পাকিস্তানি অপশক্তির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। আমাদের এ দেশ সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক বিভিন্ন লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে স্বাধীন হয়েছে ঠিকই। কিন্তু আমরা কতটুকু স্বাধীনতা ধরে রাখতে পেরেছি! বর্তমান সময়ে এটা ভাবার বিষয়। দেশকে মুখ দিয়ে ভালোবাসি কিন্তু অন্তর দিয়ে নয় কিংবা কর্ম দিয়ে নয়। যদি আমরা দেশকে সত্যিকার ভালোবাসতাম, আমাদের জীবনের সব দিক দিয়ে সাম্য, সততার নীতি প্রতিষ্ঠা হতো। যেখানে থাকত না দুর্নীতি, নিপীড়ন, নির্যাতন ও সামাজিক ভেদাভেদ। তাই দেশ ও দেশের মানুষকে অন্তর দিয়ে ভালোবাসি, সুন্দর ও সুশৃঙ্খল দেশ গড়ার শপথ করি।

নওসিম আনজিলা
ইংরেজি বিভাগ ২র বর্ষ

‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উজ্জীবিত করে তারুণ্যকে’

আমার কাছে ১৯৭১ মানে একটি দেশ, নয়টি মাস, সাত বীরশ্রেষ্ঠ, একটি ভাষা। বর্তমানের তারুণ্য বিশ্বাস করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে। এ চেতনাই উজ্জীবিত করে তারুণ্যকে। আজকের প্রজন্ম নেতৃত্ব দেবে আগামীর বাংলাদেশকে। আর সেই আগামী হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার। দুর্নীতিমুক্ত এক বৈষম্যহীন বাংলাদেশের। মহান বিজয়ের মাসে এমনটাই প্রত্যাশা আমাদের তরুণ প্রজন্মের কাছে। এক্ষেত্রে তরুণ হিসেবে এ বিজয় দিবসের প্রত্যাশা থাকবে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে নিজেকে গড়ে তোলার।

মো তৌফিক এলাহী তকি
ডিপার্টমেন্ট :বিবিএ
সেমিস্টার:২য়

তরুণ নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’

১৯৭১ এ আমাদের এই স্বাধীনতা অর্জন এতো সহজ ছিল না তার পেছনে রয়েছে বীর বাঙালিদের স্বর্ণাক্ষরের ইতিহাস ও শতসহস্র মা-বোনের আত্মমর্যাদার বলিদান। বিজয়ের কথা সবাই মনে রাখে, বিজয়ের পেছনের গল্প কজন জানে? বিজয় উদযাপনের পূর্বে আমাদের বিজয়ের আড়ালের গল্প জানতে হবে। বর্তমানে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় আমাদের তারুণ সমাজের লক্ষ্যে একটি কথা বলেন, তোমারাই আগামীর ভবিষ্যৎ, তোমারাই গড়ে তুলবে আগামীর বাংলাদেশ। আমাদের এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নেই কাজ করা উচিত। একাত্তরের তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বর্তমানে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল একটি দেশ। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ তবে আমি মনে করি তরুণ নেতৃত্ব বাংলাদেশকে এগিয়ে নিবে বহুদূর।

ঐন্দ্রিলা বড়ুয়া।
ইংরেজি বিভাগ।
২য় অর্ধবর্ষ।

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ৩০ লাখ শহিদের তাজা প্রাণ এবং ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন দেশ এবং নিজেদের মত প্রকাশের অধিকার। আর এই বিজয়ের চেয়ে আনন্দ অন্য কিছুতে নেই। স্বাধীনতার চেয়ে সুখ অন্য কিছুতে হয় না। যুদ্ধে শহিদ হওয়া জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তবে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ছাড়া আমাদের তরুণ সমাজকে সঠিকভাবে পরিচালিত করা সম্ভব নয়। আমাদের সঠিক পথ দেখাতে, আমাদের মধ্যে সাহস জোগাতে এবং সৃষ্টিশীল ও সৃজনশীলতার প্রকাশে সহায়তা করতে একমাত্র রাজনৈতিক নেতৃত্বই তারুণ সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

হিমেল ইব্রাহিম
ইংরেজি বিভাগ ২য় বর্ষ

বিজয় দিবস আমাদের চেতনার স্মারক’

জাতি হিসেবে আমরা জন্ম থেকেই স্বাধীনচেতা। বহিঃশক্তির কাছ কখনো আমরা নতজানু হইনি। এই বিজয় দিবস আমাদের এই চেতনার স্মারক। একজন তরুণ হিসেবে এই দিনটি আমার কাছে অনুপ্রেরণার খোরাক। এটি আমার দৃঢ়তায় শান দেয়। জাতি হিসেবে আমরা প্রতিষ্ঠিত। আমাদের অর্জন অনেক। কিন্তু আধুনিক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা, প্রযুক্তি, অবকাঠামোতে আমাদের ঘাটতি আছে, যা জয় করাই হবে আমাদের তরুণ প্রজন্মের সংগ্রাম। আর এই সংগ্রামের অনুপ্রেরণা বিজয় দিবস।

মংম্যাসিং দেওয়ান
সিএসই বিভাগ ২য় সেমিস্টার

 

নিজের মধ্যে বিজয়ের চেতনা ধারণের চেষ্টা করতে হবে

একাত্তরের তরুণদের মধ্যে ছিল না তথ্যপ্রযুক্তির ছোঁয়া।ছিলো না জ্ঞান ভান্ডার ।তাদের মধ্যে ছিলো দেশকে শত্রু মুক্ত করার অদম্য ইচ্ছে ও সাহস। ছিল নেতৃত্ব দেওয়ার মত শক্তি। তবে আমাদের বর্তমান তরুণদের সাথে তখনকার তরুণদের পার্থক্য অনেক বেশি।বর্তমান তরুণরা যুদ্ধ দেখেনি।বর্তমান তরুণদের মধ্যে যদি সৎ সাহস প্রতিষ্ঠা করতে হয় তাহলে প্রয়োজন হবে সুষ্ঠু রাজনীতির। যা আমরা বঙ্গবন্ধুর সময়কালে দেখেছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের শিখিয়েছেন কিভাবে সুস্থ রাজনীতি করতে তরুণদের কে সঠিক পথের দিশা দিতে হবে। আমরা যদি আমাদের সমাজের তরুণদের সঠিক পথে আনতে পারি তাহলে ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় ছিনিয়ে আনার মত যেকোন পরিস্থিতি তারা সামাল দিতে পারবে।

আসমা আক্তার
জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ
৫ম সেমিস্টার

এই বিভাগের আরও খবর