chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ঘরের ভেতরের দূষিত বায়ু দূর করবেন যেভাবে

বর্তমানে বায়ু দূষণ খুব বেড়ে গেছে। বাইরে তো নয়ই ঘরে ঢুকেও যদি একটু শান্তির শ্বাস না নিতে পারেন তাহলে মনের সাথে শরীরও খারাপ হয়ে যাবে। শুধু ঘর সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখলেই হবে না। শরীর ও মন ভাল রাখতে ঘরের বাতাসও পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন।

দূষিত বাতাসে ঘর যেন ভরে না ওঠে সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।

বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা

ঘরের ভেতরে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে। ঘর বদ্ধ থাকলে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। যা একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। তাই বায়ু চলাচলের পথ রাখতে হবে। ঘরের দরজা-জানালা যতটা সম্ভব খুলে রাখা প্রয়োজন। যাতে বাইরের মুক্ত বাতাস ঘরে প্রবেশ করতে পারে।

গাছ

ঘর সাজানোর জন্য গাছের ব্যবহার করতে পারেন। কারণ ঘর দেখতেও সুন্দর লাগবে আবার ঘরের বাতাসও বিশুদ্ধ থাকবে। সবুজ গাছ ঘরে রাখলে শরীরের সাথে মনও ভাল থাকবে। অনেক গাছ বাতাস থেকে দূষিত পদার্থ শোষণ করে নেয়।

পরিষ্কার

ঘর-বাড়ি সবসময় পরিষ্কার রাখুন। ময়লা বা পুরনো জিনিস-পত্র দিয়ে ঘর ময়লা করে রাখবেন না। এর ফলেও ঘরের ভেতর বাতাস দূষিত হয়ে যেতে পারে।

বিছানা- বালিশ

তোশক, কাঁথা বা বালিশ নিয়মিত রোদে দিন। এত ঘরে কোনো জীবানু সহজে প্রবেশ করতে পারবে না। পর্দা নিয়ম করে পরিষ্কার করুন।

এসি

ঘরে যদি এসি থাকে তাহলে তো হয়েই গেল। আনেক এসিতে ‘এয়ার পিউরিফায়ার’ অপশনটি থাকে। এটির কাজ দূষিত বাতাস বের করে বিশুদ্ধ বাতাস ঘরের ভিতর প্রবেশ করানো।

ধূমপান

ঘরের ভিতর ধূমপান করবেন না। এই অভ্যাস এমনিতেই স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। তার মধ্যে ঘরের ভিতরে ধূমপান করলে দূষণের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

কার্পেট

ঘরে কার্পেট বিছিয়ে রাখেন অনেকেই। কার্পেটে নানা ধুলো-ময়লা জমে থাকে। বাতাসে মিশে শ্বাসকষ্টের সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই কার্পেট ব্যবহার করতে চাইলে প্রতি দিন এক বার করে পরিষ্কার করুন।

সূত্র : ট্রিহাগার।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর