chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

খাতুনগঞ্জ চালের বাজার অস্থির বেড়েছে বস্তাপ্রতি ৭-৮শ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  চালের বাজারে স্থিতিশীলতা শুল্কহার কমিয়ে আমদানির উদ্যোগ নেয় সরকার। এর ফলে আমদানি হয়েছে সামান্য চাল। আমদানি কম হওয়ার সুযোগে চালের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে।

শুল্ক কমানোর পরও ডলারের মূল্যবৃদ্ধিতে চালের আমদানি মূল্যও বেড়ে যাচ্ছে। এতে বাজারে প্রভাব পড়েনি।তিন কারণে চালের বাজার অস্থিরতা বিরাজ করছে বলে দাবি করেন চাক্তাই চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর আজম। তিনি বলেন, ‘ঊচ্চ শুল্ককর ও ডলারের মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে বড় সমস্যা। তাছাড়াও এখন এলসি খোলার জন্য ৭৫ শতাংশ টাকা নগদ পরিশোধ করতে হচ্ছে। যা আগে ১০ শতাংশ টাকা নগদ দিয়ে এলসি (আমদানি অনুমতিপত্র) খোলা হত। বড় তিন সংকটের কারণে চাল আমদানিতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন আমদানিকারকেরা। অভ্যন্তরীণ বাজারে সংকটের কারণে বাজারে ফের চালের দাম বেড়েছে।দ্রুত এজন্য শুল্কহার প্রত্যাহারের দাবি করেছেন তিনি।

নগরীর অন্যতম বড় চালের আড়ত পাহাড়তলী বণিক সমিতির সহ-সভাপতি মো. জাফর আলম বলেন, অস্বাভাবিকভাবে চাল মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। পরে ইচ্ছেমতো দামে বিক্রি করে।’‘কর্পোরেট গ্রুপগুলোর কারণে আমাদের কপাল পুড়ছে। সরকারও যেন তাদের কাছে জিম্মি।

তিনি বলেন,এক-দুই ও পাঁচ কেজি ওজনের প্যাকেটে শপিংমল এবং মার্কেট-দোকানে চাল বিক্রি করে কর্পোরেট গ্রুপগুলো। প্যাকেটজাত এসব চাল কেজিতে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি করা হয়।

আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী জানান, ডলার ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়তি। একই সঙ্গে চালের রপ্তানিমূল্যও বাড়িয়েছে ভারত। এরফলে শুল্কহার কমানোর পরও চালের দাম কমছে না।চিনিগুঁড়া চালের দাম কয়েকদিনের ব্যবধানে বস্তাপ্রতি ৭-৮শ টাকা বেড়েছে। এটা ইতিহাসের রেকর্ড।’

চাক্তাই ও পাহাড়তলী চাল বাজারে দেখা যায়, দেশি উন্নতমানের বেতি আতপ চাল বিক্রি হচ্ছে ২৪শ টাকায়। মধ্যমানের বেতি ১৯শ টাকা থেকে দুই হাজার টাকায়। ভারত থেকে আমদানি করা বেতি বস্তাপ্রতি ২৩শ টাকা। নূরজাহান সিদ্ধ (দেশি-গুটি সিদ্ধ) বিক্রি হচ্ছে বস্তাপ্রতি ২৩শ টাকা। আমদানি করা নূরজাহান সিদ্ধ ২৫শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। জিরাশাইল বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৩৪৫০ টাকা থেকে ৩৬শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মধ্যমানের জিরাশাইল ৩৩৫০ টাকা টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাটারি আতপ ৩৭-৩৮শ টাকা বিক্রি হচ্ছে। নাজিরশাইল ৩৮শ-৩৯শ টাকা বিক্রি হচ্ছে। মধ্যমানের নাজিরশাইল ৩৬শ-৩৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে চিনিগুঁড়া চালের দাম। মাসখানেক আগে তা বিক্রি হয়েছিল ৪২শ টাকা দরে। দফায় দফায় বেড়ে তা এখন মানভেদে ৪৯শ টাকা থেকে শুরু করে ৫৮শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিনিগুঁড়া ছাড়াও জিরাশাইল, নাজিরশাইল চালের দাম কয়েকদিনের ব্যবধানে বস্তাপ্রতি ১-২শ টাকা বেড়েছে।কিন্তু ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে উল্টো চালের দাম শুধু বেড়েই চলেছে।’

জুইম/আরএফ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর