chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বুলেট ট্রেনে মাত্র ৫৫ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা !

ডেস্ক নিউজঃ বুলেট ট্রেন। মাত্র ৫৫ মিনিটে রাজধানী থেকে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে পৌঁছে যাবে। সে পথেই পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সমীক্ষা অনুযায়ী ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ২২৭ কিলোমিটার উড়াল রেলপথ নির্মাণ করা হবে। থাকবে ৬টি অত্যাধুনিক রেলস্টেশন। পথের পুরোটাই হবে সংক্রিয় সিগনাল ব্যবস্থা সম্পন্ন। ট্রেনের গতি হবে ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার মিটার। স্বপ্নের বুলেট ট্রেন প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় এক লাখ হাজার কোটি টাকা।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, এ প্রকল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। যারা প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রস্তাব দিয়েছে জিটুজি ও পিপিপির মাধ্যমে। প্রস্তাব অনুযায়ী, চায়না রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিআরসিসি) ও চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) যৌথভাবে একটি কোম্পানি গঠন করে রেলপথটি নির্মাণ করবে। এজন্য প্রয়োজনীয় ঋণের সংস্থান ও রেলপথটি নির্মাণের দায়িত্ব নেবে প্রস্তাবিত কোম্পানি। ঋণ পরিশোধ করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। পাঁচ বছর রেলপথটি পরিচালনার পর তা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হবে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, এর আগে কোরিয়ান দুই কোম্পানী হাইস্পিড রেল নির্মাণের প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু সে প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি রেলওয়ে। গত বছর রেলওয়ের জন্য ১০টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) কেনা হয় দক্ষিণ কোরিয়া থেকে। ইঞ্জিনগুলো কিনতে ঋণ দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। গত বছর আগস্টে ইঞ্জিনগুলো সরবরাহ করে কোরিয়ার হুন্দাই রোটেম কোম্পানি। তবে ইঞ্জিনগুলোয় দরপত্রের শর্তানুসারে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সংযোজন করা হয়নি। নিম্নমানের যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি করা এসব ইঞ্জিন। ইঞ্জিনগুলো এখন রেলের গলার কাঁটা হয়ে আছে। সে কারণেই মেগা এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চীনের উপরই ভরসা রাখতে চাচ্ছে রেলওয়ে।

সূত্র জানায়, বুলেট ট্রেনের জন্য হাইস্পিড রেল নির্মাণে সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে সিআরসিসি ও সিসিইসিসি। ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস ও বাংলাদেশ সরকারের পিপিপি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রস্তাবটি রেলওয়েকে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে চীনের বাংলাদেশ দূতাবাসও রেলওয়েকে একই প্রস্তাবের বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছে। প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে মতামত নেয়ার জন্য তা সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে রেলওয়ে।

জুইম/চখ

এই বিভাগের আরও খবর