chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

অবশেষে সেই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ভাঙ্গা হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : অবশেষে ভাঙ্গা হচ্ছে নগরীর কোতোয়ালী থানা সংলগ্ন সতীশ বাবু লেইনের মুখে দেড়শ বছরের জরাজীর্ণ তিনতলা ভবনটি।

সতীশ বাবু লেইনে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন
ফাইল ছবি

এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর চট্টলার খবরে ‘রাস্তার পাশে দেড়শ বছরের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন, দুর্ঘটনার আশংকা এলাকাবাসীর’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর গত রবিবার (১৫ নভেম্বর) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট ভবনটি ভাঙ্গার জন্য যায়। এরপর ভবনটির মালিক রত্না চক্রবর্তী (৫০) ম্যাজিস্ট্রেট থেকে ভবনটি নিজ উদ্যাগে ভাঙ্গার অনুমতি নেন।

ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে সেই দেড়শ বছরের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন
ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে সেই দেড়শ বছরের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি। ছবি – এম ফয়সাল এলাহী

এই বিষয়ে রত্না চক্রবর্তী চট্টলার খবরকে বলেন, ৩৩ বছর হয়েছে তাঁর বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর থেকে ভবনটি বসবাস করে আসছেন তিনি। ভবনটি পুরনো হলেও ভাঙ্গার মতো অবস্থা হয়নি। বেশ কয়েক বছর ধরে শত্রুরা আমাদের ভবনটি ভেঙ্গে দখল করতে উঠেপরে লেগেছে।

তিনি বলেন, ভবনটি প্রায় তিন গণ্ডা জায়গার উপর নির্মিত। এই জায়গা দখলে নিতে খতিয়ান জালিয়াতি করে ৬টি মামলা করেছে শত্রুরা। মামলাগুলো এখনো চলমান রয়েছে। এর মধ্যেই আমাদের ভবনটি ভাঙ্গাতে হচ্ছে। এখন থাকারও জায়গা নেই। ভবনের নিচে দোকান ভাড়া দিয়েছিলাম, এখন দোকানদারকেও পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে। আদালতের মামলা কদিনে শেষ হয় কি জানি। আর মামলা চলা অবস্থায় তো কোন ঘর করা যাবেনা। স্বামী হারিয়ে আমি একা লড়তে পারছিনা- যোগ করেন রত্না চক্রবর্তী।

ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে সেই দেড়শ বছরের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি। ছবি – এম ফয়সাল এলাহী
ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে সেই দেড়শ বছরের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি। ছবি – এম ফয়সাল এলাহী

রত্না চক্রবর্তী স্থানীয় সতীশ বাবু লেইন এলাকার ধরণী ধর চক্রবর্তীর ছেলে অমল চক্রবর্তীর স্ত্রী। ২০০৮ সালে অমল মৃত্যুবরণ করেন। তাদের একটি মাত্র মেয়ে। সেটারও বিয়ে হয়ে গেছে।

রত্না চক্রবর্তী বলেন, ১২টি দোকান ভাড়া দিয়েছি। এসব দোকানের পাওনা অনেক টাকা। আমাকে ভবনটি ভাঙ্গার জন্য কিছুদিন সময় দিলো না চসিক। গত রবিবার থেকে আমি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি। আশ্রয় পাচ্ছিনা।

তিনি বলেন, ‘আমাদের জায়গার খতিয়ান জালিয়াতি করে মামলা করেছে বেশ কয়েকজন। এর মধ্যে লিটু দেব, শঙ্কর চক্রবর্তী, জহরলাল হাজারী, দীপক কান্তি দত্ত। এর মধ্যে জহরলাল হাজারী ও দীপক কান্তি দত্ত ভূমি উন্নয়ন চুক্তি করে। তারা নিজেদের ব্যবসায়ী উল্লেখ করেছিল কিন্তু তাদের কেউ ব্যবসায়ী নন। জহরলাল হাজারী সে সময় চসিকের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছিলেন এবং দীপক কান্তি দত্ত পেশায় আইনজীবী। ’

জানা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিতে ২য় তলায় ভবন মালিকের তিন মেয়ে এবং নিচতলায় ছেলের বিধবা বউসহ বেশ কয়েকটি পরিবার বসবাস করাতে চসিকের পক্ষ থেকে ভাঙ্গার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর আগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিত্যক্ত ঘোষণা করে পথচারিকে নিরাপদে চলাচল করার পরামর্শ দিয়ে একটি সাইনবোর্ড ঝুঁলিয়ে দেন।

এসএএস/চখ

এই বিভাগের আরও খবর