chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা: উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত

সন্ধান মিলেছে কয়েকজন বাংলাদেশির

ভারতের ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় লাইনচ্যুত বগি ও ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেনে চলমান উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত হয়েছে। বর্তমানে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করাসহ অন্যান্য কাজগুলো চলছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশিনি বৈষ্ণ। এছাড়া আহতদের দেখতে ওড়িশায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওড়িশার বালেশ্বরে দুটি যাত্রীবাহী ও একটি মালবাহী ট্রেন দুর্ঘটনায় কবলিত হয়। মর্মান্তিক এ ঘটনায় আহত ও নিহতদের উদ্ধারে ১৮ ঘণ্টা সময় লেগেছে উদ্ধারকারীদের।

উদ্ধার অভিযান শেষ হওয়ার ব্যাপারে মন্ত্রী অশিনি বৈষ্ণ বলেন, ‘উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত হয়েছে এবং সেবা চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমরা এ ঘটনার তদন্ত করবো এবং নিশ্চিত করব ভবিষ্যতে আর এমন ঘটনা ঘটবে না।

উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছিলো সেনাবাহিনীর একটি দল, ন্যাশনাল ডিজেস্টার রেসপন্স ফোর্সের সাতটি দল, ওড়িশা ডিজেস্টার র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের পাঁচটি এবং ফায়ার সার্ভিস ও ইমার্জেন্সির ২৪টি ইউনিট। এছাড়া ভারতীয় বিমানবাহিনীর এম-১৭ হেলিকপ্টারও মোতায়েন করা হয়েছিল।

দুর্ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে ২৬১ জন নিহত ও প্রায় ৯০০ জন আহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন উদ্ধার সংশ্লিষ্টরা। তবে কিছু কিছু সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছিল, ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় ২৮৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

এ দুর্ঘটনায় কয়েকজন আহত বাংলাদেশির সন্ধান পাওয়া গেছে। তারা ওড়িশার সরো সরকারি হাসপাতাল এবং বালাসোর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর রাজশাহীর বাসিন্দা মো. রাসেলুজ্জামানকে (২৭) সরো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে বালাসোর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

পাবনার বাসিন্দা মো. আসলাম শেখ (৩৩), খুলনার বাসিন্দা রুপা বেগম খান এবং ঢাকার দুই বাসিন্দা খালেদ বিন আওকাত (৫০) ও মোহাম্মদ মোক্তার হোসেনকে(৩৫)র খোঁজ মেলেনি।

এদিকে, হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে গোপালগঞ্জের বাসিন্দা সাজ্জাদ আলীকে। তিনি কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার সকালে হাবিবুর রহমান নামে এক আহত বাংলাদেশি খবর পাওয়া গেছে। তিনি সরো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ময়মনসিংহের বাসিন্দা মিনাজ উদ্দিনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল শুক্রবার (২ মে) সন্ধ্যায় ট্রেন দুর্ঘটনার পরই।

তিনিই প্রথম জানিয়েছিলেন যে, তার সঙ্গে ১৫ জন বাংলাদেশি চিকিৎসার উদ্দেশ্যে চেন্নাই যাচ্ছিলেন। তারা পাশের বগিতে ছিল। দুমড়ে যাওয়া ঠিক আগের বগিতেই ছিলেন তিনি। তাই তিনি প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর