chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

আওয়ামী লীগ প্রতিমুহূর্তে দুঃস্বপ্ন দেখছে : মির্জা ফখরুল

ডেস্ক নিউজঃ আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিমুহূর্তে দুঃস্বপ্ন দেখছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণ তাদের কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। সেজন্য তারা নানা মিথ্যাচার করছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি।

 

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমের লেখা একটি বইকে উদধৃত করে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যাচার ছড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর পুত্র এবং তার আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

 

কিন্তু বাস্তব সত্য হলো প্রেসিডেন্ট আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম ‘অ্যাট বঙ্গভবন: লাস্ট ফেজ’ নামে ইংরেজিতে লেখা বইটির কোথাও ‘অস্ত্রের মুখে জিয়া রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে পদত্যাগে বাধ্য করেছিলেন’ এমন কথা উল্লেখ নেই। অথচ একরম মিথ্যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং কিছু গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করেছেন প্রধানমন্ত্রীর পুত্রসহ আওয়ামী লীগের অনেকেই।

 

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক প্রভাবশালী গণমাধ্যম এএফপি বিষয়টির ফ্যাক্ট চেক করে সোমবার একটি অনুসন্ধানি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেখানে তথ্যপ্রমাণসহ উঠে এসেছে -শহীদ জিয়াকে নিয়ে খবর প্রকাশের বিষয়টি ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচার আর ইতিহাস বিকৃতির প্রচেষ্টা। এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে তার উত্তরসূরী জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করেছিলেন এমন একটি তথ্য বিকৃত করে অবাধে ফেসবুকে ছড়ানো হয়। মূল ইংরেজি বইতে জিয়া সম্পর্কে এরকম কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। অভিযোগের বিষয়টি সাজানো বিলে তথ্য পেয়েছে এএফপি। বইটির বাংলা অনুবাধক নিজেও এএফপিকে জানিয়েছে ফেসবুকে এনিয়ে যা ছড়ানো হয়েছে তা বিভ্রান্তিকর।

 

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের প্রখ্যাত মানবাধিকার সংগঠন বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ‘অধিকার’-এর নিবন্ধণ প্রধানমন্ত্রীর এনজিও বিষয়ক ব্যুরো কর্তৃক বাতিল করায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। স্থায়ী কমিটির সভায় বিষয়টি আলোচনা হয়েছে।

 

তিনি আরো বলেন, সরকারের এই পদক্ষেপ মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোর উদ্যোগকে ব্যাহত করবে। সরকারের মানবাধিকারের লংঘনের প্রবণতা ও বৃদ্ধি পাবে। গুম, বেআইনিভাবে আটক, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর