chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

সিআরবির পরিবর্তে কুমিরায় হাসপাতাল নির্মাণ!

নিজম্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম নগরীর ফুসফুস খ্যাত সবুজে ঘেরা সিআরবির পরিবর্তে কুমিরায় হাসপাতাল নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পেশ করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম এমপি।

মঙ্গলবার(১০ মে) একাদশ জাতীয় সংসদের রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র ২০তম বৈঠক এ প্রস্তাব পেশ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘সিআরবিতে হাসপাতাল হউক এটা যেহেতু চট্টগ্রামবাসী চায় না। কিন্তু চট্টগ্রামের জন্য আধুনিক হাসপাতালের প্রয়োজন রয়েছে। তাই হাসপাতালের জন্য বিকল্প স্থান প্রয়োজন। আমরা বিকল্প হিসেবে কুমিরার নাম প্রস্তাব করেছি।’

তাহলে কি সিআরবির পরিবর্তে কুমিরায় হাসপাতালটি নির্মিত হচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে এবিএম ফজলে করিম বলেন, ‘কোথায় নির্মিত হবে সেই সিদ্ধান্ত দিবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। যেহেতু সিআরবিতে হাসপাতাল নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে তাই আমরা এর বিকল্প স্থান নির্ধারণ করেছি।’

সংসদীয় কমিটির নতুন প্রস্তাবনার বিষয়ে কথা সিআরবি রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, ‘এই প্রস্তাবনা আমাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফসল। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দুই দফা লিখিত আবেদন করে জানিয়েছি চট্টগ্রামের নির্মল পরিবেশের স্বার্থে সবুজে ঘেরা সিআরবিকে রক্ষার জন্য। অবশেষে তা রক্ষা পাচ্ছে বলে সিআরবি রক্ষা আন্দোলনের পক্ষ থেকে এবং চট্টগ্রামবাসীর পক্ষ থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।’

 

এদিকে সিআরবিতে থেকে অন্যত্র হাসপাতালে নেওয়ার বিষয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসা নাগরিক সমাজ। সভা-সমাবেশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলন চালিয়ে যায়।

জানতে চাইলে আন্দোলনকারী ও গণমাধ্যমকর্মী আমিন মুন্না চট্টলার খবরকে বলেন, দীর্ঘ ১১ মাসের বেশি সময় ধরে নগরীর ফুসফুত খ্যাত সিআরবিতে হাসপাতালে  বিরোধীতা করে আমরা আন্দোলন করেছি। আন্দোলনের মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করেছি। রেলপত্র মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে হাসপাতালটিতে সীতাকুণ্ডের কুমিরাতে করার প্রস্তাব করা হয়েছে। হাসপাতালটিতে সিআরবি ছাড়া অন্য স্থানে করার বিষয়টিকে আমরা সাধুবাদ জানাই। আমরা আশা করব রেলপত্র মন্ত্রণালয়ের নেওয়া সিদ্ধান্তটি ইতিবাচক।

উল্লেখ্য, টাইগারপাস, লালখানবাজার, স্টেডিয়াম, কদমতলী এলাকার মধ্যবর্তী সিআরবি জোনটি হেরিটেজ জোন হিসেবে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাস্টারপ্ল্যানে উল্লেখ করা আছে। আর হেরিটেজ জোনে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা যায় না। পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ে সদর দপ্তরের ভবনটিও পুরার্কীতি হিসেবে চিহ্নিত। শ্বাস নেওয়ার এই মনোরম জায়গাটি রক্ষার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছিল নগরবাসী।

আরকে/নচ/চখ

 

এই বিভাগের আরও খবর