chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

আনোয়ারা সাগর উপকূলে গুলিবিদ্ধ হয়ে জেলের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার সাগর উপকূলে গুলিবিদ্ধ হয়ে ১৮ বছর বয়সী এক তরুণ জেলের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

আজ বুধবার (১৩ এপ্রিল) উপজেলার সাগর উপকূলী ইউনিয়ন রায়পুরের গহিরা সাত্তার মাঝির ঘাটে ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, আইন শঙ্খলা বাহিনীর একদল সদস্যের সাথে বাকবিতন্ডা হয়েজেলেদের। এরপর ফাঁকা গুলি ছুড়ে জেলেদের ভয় দেখাতে চেয়েছিলেন তারা।

অনাকাঙ্কিত ভাবে একটি গুলি গিয়ে লাগে এক জেলের পেটে। ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই তরুণ জেলে। তবে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের কেউই এ ঘটনাটি স্বীকার করেনি।

নিহত জেলের নাম মো. রাসেল। বয়স ১৮। সে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পাটুয়া পাড়া গ্রামের মো. রফিকের ছেলে বলে জানা গেছে।

রাসেলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ। তিনি বলেন, বুধবার বেলা পৌণে ১২ টার সময় গুলিবিদ্ধ এক তরুণকে হাসপাতালে নিয়ে আসে স্বজনরা।

তবে হাসপাতালে আনার আরো কিছু সময় আগেই ওই তরুণের মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু ঘটেছে ওই তরুণের। পরে ঘটনাটি হাসপাতাল থেকে থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে জানালেন আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিদারুল ইসলাম সিকাদার। তবে ঘটনাটি তদন্ত করবেন নৌ পুলিশ।

এদিকে নিহত জেলের স্বজনরা জানিয়েছেন অন্যান্য দিনের মতোই নিহত রাসেল ও এনাম সাগর থেকে জাল তুলতে যায়। সেখানে গিয়ে দেখেন কিছু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একদল সদস্য তাদের পাতা জালগুলো জব্দ করে নিয়েছে।

জালগুলো উদ্ধারের জন্য তাদের সাথে কথা বলতে গেলে রাসেল ও এনামের সাথে বাঁকবাতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে জেলেদের সতর্ক ও ভয় দেখাতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে ‌বাহিনীটি। এতে অনাকাঙ্খিতভবে একটি গুলি রাসেলের পেটে লেগে তাঁর মৃত্যু হয়।

তবে এ ধরনের কোন ঘটনা তাদের জানা নেই এবং বুধবার সকালে তাদের কোন টিম অভিযান পরিচালনা করেনি বললেন কোস্ট গার্ড সাঙ্গু জোনের সিসি সাজু আহমেদ।

নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় কয়েকজন জেলে এক তরুণকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গহিরা বেড়িবাঁধে নিয়ে আসেন। তাকে দ্রুত আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা এ ঘটনার জন্য কোস্টগার্ডকে দায়ী করলেও এ বিষয়ে নিশ্চিত নয় বলে জানায় নৌ পুলিশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কীর্তিমান চাকমা। তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলা হবে এবং ঘটনাটি তদন্ত করে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর