chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ভুল ধরা পার্টি সরকারের উন্নয়ন দেখে না: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি:বৈশ্বিক পেক্ষাপটেও সরকার দ্রব্যমূল্যের দাম সহনীয় মাত্রায় এনে জনগণের মাঝে স্বস্তি ফিরে আনায় বিএনপি ও কিছু নামধারী বুদ্ধিজীবীর অস্বস্তি বেড়ে গেছে বলে জানালেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (২৫ মার্চ) দুপুর ১২ টায় স্বাধীনতা দিবসের আলোচনায় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সমগ্র বিশ্বে দ্রব্যমূল্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। ইউরোপের দেশগুলোর প্রধান খাদ্য রুটির মূল্য ৭৯ শতাংশ বেড়েছে। আমেরিকা, ভারত, পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশগুলোতেও খাদ্যমূল্যের দাম বেড়েছে। আমাদের দেশের কিছু কিছু আমদানি পণ্যের দাম বেড়েছে। কিন্তু
অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় কম বেড়েছে। এরপরও কম মূল্যে মানুষের কাছে কম দামে পণ্য পোঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রী এক কোটি মানুষকে ফ্যামিলি কার্ড দিয়েছে। মানুষের মাঝে যখন স্বস্তি ফিরে এসেছে তখন বিএনপি ও কিছু নামধারী বুদ্ধিজীবীর অস্বস্তি বেড়ে গেছে। এদের কাজই হলো রাত ১২ টায় টেলিভিশনে সক্রিয় হয়ে সরকারের ভুল ধরা। আমি এদের নাম দিয়েছি ‘ভুল ধরা পার্টি’। দেশ শতভাগ বিদ্যুৎতায়ন হওয়ার পরও এরা অন্ধকারে নিমর্জ্জিত।

সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রগতির বিএনপি দেখা দাবি করে হাছান মাহমদু বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান মাথাপিছু আয় এখন ২৬০০ ডলার। করোনাকালেও আমাদের এ প্রবৃদ্ধি পাশ্ববর্তী দেশ ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্বে ২০২০-২১ অর্থবছর মাত্র ২০টি দেশ পজিটিভ গ্রোথ অর্জন করেছে। পজিটিভ গ্রোথের দেশগুলোর উপড়ে থাকা দক্ষিণ সুদান ও গায়না আমাদের চেয়ে ছোট অর্থনীতির দেশ। সেখানে জনসংখ্যা অনেক কম। সে বিবেচনায় পৃথিবীতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এক নম্বরে ছিল। জাতিসংঘের মহাসচিব, বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট, মার্কিট যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ও বিদায়ী প্রেসিডেন্ট, ভারতীয় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানরা সরকারের প্রশংসা করছে। কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্মমহাসচিব রিজবী আহম্মেদসহ বিএনপি নেতারা উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রশংসা করতে পারে না। করোনার টিকা নিয়েও বিএনপি মিথ্যাচার করেছে।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্মসাধারণ সম্পাদক নেতাকর্মীদের উদ্দশ্যে করে বলেন, আগামী সংসদীয় নির্বাচনে জয়ী হতে দলের সাংগঠনিক শক্তির কোনো বিকল্প নেই। গ্রাম কমিটির পর এখনও মহল্লা কমিটি করে দলকে সংগঠিত করতে হবে। কেবল নেতার পেছনে স্লোগান না দিয়ে সরকারের উন্নয়নের বার্তা জনগণের কাছে পোঁছে দিতে হবে।

এসময় অনুষ্ঠানে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরকে/নচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর