chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

তেল নিয়ে তেলেসমতি: এস আলম-টিকের কারখানায় অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে সাম্প্রতিক সময়ে ভোজ্যতেল নিয়ে তেলেসমতি যেন বেড়েই চলেছে। বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের মূল্য বেড়ে যাওয়াকে ‘সুযোগ’ হিসেবে নিয়ে সম্প্রতি দেশের বাজারে সব স্তরে দাম বাড়িয়েছেন ‘অতি উৎসাহী’ ব্যবসায়ীরা।

তেল নিয়ে কারসাজি ঠেকাতে ইতিমধ্যে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এবং মিল মালিকদের চিঠি দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সরেজমিনে পরিদর্শণ করতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হানা দিয়েছে অধিদপ্তরের টিম। নজরদারির অংশ হিসেবে আজ রবিবার (১৩ মার্চ) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. ফয়েজ উল্যাহ নেতৃত্বে এস আলম এডিবল অয়েল মিল পরিদর্শন করেছে।

তাছাড়া একইদিনে অধিদপ্তরের অপর একটি টিম ঢাকার বাজারে ভোজ্যতেল সরবরাহের ক্ষেত্রে টি.কে. গ্রুপের মিলগেটেও অবস্থান নিয়েছিলো।

অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে আজ রবিবার বেলা ১১ টায় এস আলম গ্রুপের ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেড কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে চলে ঘণ্টাখানেক।

অভিযানের নের্তৃত্বদানকারী অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ জানিয়েছেন অভিযানের সময় এস আলম অয়েল মিলে তাদের খোলা বা পাম অয়েল তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও মিলটির রিফাইনারি সিস্টেম এবং রিফাইনারির পর সয়াবিন বোতলজাত করার সেকশনটি বন্ধ ছিল।

এ বিষয়ে এস আলম কর্তৃপক্ষ দাবী করছে সম্প্রতি ৫ হাজার টন তেল টিসিবিকে সরবরাহ করায় কারিগরি ত্রুটির কারণে মেশিনারি সার্ভিসের জন্য গত দুই দিন ধরে বোতলজাত ও প্যাকেটজাত বন্ধ রয়েছে। সার্ভিস ঠিক হলে আবার বোতলজাত চালু হবে।

এদিকে অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. ফয়েজুল্লাহ জানিয়েছেন অভিযানের সময় সয়াবিন তেলের পাঁচ লিটারের একটি বোতলের গায়ে বাড়তি দাম লেখা দেখতে পান।

তবে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু বলতে পারেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়েছে জানান এ কর্মকর্তা।

অভিযানে অংশ নেওয়া জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান জানান, এস আলম গ্রুপের ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেড কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এতে দেখা যায়, মিলে পর্যাপ্ত তেল আছে। তবে কি পরিমাণ আছে তা তাৎক্ষনিক জানা যায়নি। তাদের মেশিনারিজ সমস্যার কারণে আজকেসহ দুইদিন ধরে কারখানা বন্ধ আছে বলে জানিয়েছে। জনস্বার্থে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে একই দিনে দুপুরের দিকে নারায়ণগঞ্জের তারাবোতে পুষ্টি সয়াবিন তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান টি.কে. গ্রুপের শবনম ভেজিটেবল অয়েল মিলও পরিদর্শণ করেছেন ভোক্তা অধিদপ্তরের টিম।

এসময় প্রতিষ্ঠানটির দৈনিক সরবরাহের তথ্য-উপাত্ত খতিয়ে দেখেছে সরকারি সংস্থাটি। প্রাথমিকোবে অনিয়মের কোনো তথ্য পাওয়া না গেলেও তথ্য যাচাই-বাছাই করে বাজারে সংকট তৈরির কোনো প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন ভোক্তা অধিদপ্তর। তবে প্রতিষ্ঠানটির দাবি, কারসাজি করে নয়, ভোক্তা চাহিদা মিটিয়েই মুনাফা করতে চায় তারা।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর