chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রামে ৭৫ শতাংশ রোগী ওমিক্রনে আক্রান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের দুইটি সরকারি হাসপাতালে আসা ৭৫ শতাংশ রোগী ওমিক্রনে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সার্স কভ-২ এর জিনোম সিকুয়েন্সের আন্তর্জাতিক ডাটাবেস জার্মানির ‘গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডাটা’ জিআইএসএইড থেকে এই জিনোম সিকুয়েন্সের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে গেল নভেম্বর-ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহের করোনা পজিটিভ রোগীদের জিনোম সিকুয়েন্সিং পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৫  ডিসেম্বরের পরে আসা করোনা পজিটিভ রোগীদের ৭৫ শতাংশ ওমিক্রন ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত হন।

এছাড়া গেল ১ নভেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বরের  মধ্যে ৩০ জন রোগীর নমুনা  জিনোম সিকুয়েন্সে সব রোগী ডেল্টা ভেরিয়েন্টে শনাক্ত ছিলেন। এই তালিকায় নবজাতক থেকে ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধ রোগী ছিলেন।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, হাসপাতালে আসা এসব রোগীর মধ্যে দুই জনের রোগীর শরীরে ওমিক্রনের সাম্প্রতিক ধরন ‘বিএ২’ বা ‘স্টেলথ ওমিক্রন’ পাওয়া গেছে। জানুয়ারির শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস ও হিউস্টন, ভারত, চীন ও ওমানে এই ভেরিয়েন্টটির অস্তিত্ব মিলেছে। তবে নতুন প্রকরণটি খুব বেশী বিপদজ্জনক নয় বলে জানান গবেষকেরা।

তবে এটির স্পাইক প্রোটিনে বেশ কিছু নতুন পরিবর্তন আছে, যা শনাক্ত ব্যক্তিকে দুরুহ করে ফেলতে পারে।

প্রতিবেদন মতে, ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৯০ শতাংশ রোগীর গলা ব্যথা, স্বর বিকৃত হয়ে গেছে। অপরদিকে ৮৫ ভাগের শরীরের বিভিন্ন অংশে ও মাথা ব্যথা এবং ৮০ ভাগ জ্বর আক্রান্ত হন। শিশু ও কিশোরদের মধ্যে এখনও ওমিক্রন সংক্রমিত না হলেও ২১ বছরের ঊর্ধ্বে রোগীদের কাবু করছে।

জানতে চাইলে ডা. হামিদুল্লাহ মেহেদী চট্টলার খবরকে বলেন, আরও অন্তত কয়েকশত জিনোম সিকুয়েন্স পরীক্ষা করলে ওমিক্রনের চরিত্র বুঝা যাবে।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন কনসালট্যান্ট ও করোনা ইউনিটের চিকিৎসক ডা. এইচ এম হামিদুল্লাহ মেহেদী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক ডা. আদনান মান্নান জিনোম সিকুয়েন্সিং এর নেতৃত্ব দিয়েছেন।

এতে সহ প্রকল্প পরিচালক হিসেবে আছেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র মেডিসিন কনসালট্যান্ট ডা. আব্দুর রব মাসুম, মা ও শিশু হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সঞ্জয় বিশ্বাস এবং ডা. নাহিদ সুলতানা, আইসিডিডিআরবি’র ভাইরোলজি বিভাগের বিজ্ঞানী ডা. মুস্তাফিজুর রহমান এবং ডা. মোহাম্মদ এনায়েত হোসেন।

সহায়তায় ও পৃষ্ঠপোষকতায় আছেন কানাডার ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি অব ইমার্জিং ইনফেকশাস ডিজিজ। এ ছাড়া তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণের দায়িত্বে আছেন অধ্যাপক ডেভিড কেলভিন এবং আব্দুল্লাহ মাহমুদ আল রাফাত।

সহকারী গবেষক হিসেবে যুক্ত আছেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ডা. রাজদ্বীপ বিশ্বাস, ডা. মিনহাজুল হক এবং মা ও শিশু হাসপাতালের ডা. ফাহিম হাসান রেজা।

আইসিডিডিআরবি এর ভাইরোলজি ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীরা সিকুয়েন্সিং এর সামগ্রিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।

আরকে/নচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর