chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

জমিজমা বিরোধের জেরে খুন হয় বাচা

চট্টলার ডেস্ক : খাগড়াছড়ির পর কুমিল্লায় আত্মগোপন শেষে চট্টগ্রামে ফেরার পথে চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক প্রবাসী বাচা হত্যা মামলার আসামি সুমনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব)।

গতকাল বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ফেনীর মোহাম্মদ আলী বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন সুমন।

র‌্যাব জানায়, জমিজমা বিরোধের জেরে গত ১৭ ডিসেম্বর হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর এলাকার বাসিন্দা মো. হোসেন প্রকাশ বাচাকে (৪০) কুপিয়ে হত্যা করে সুমন।

এ ঘটনার পর ভুক্তভোগীর ভাই মো. মোহছেন (৪২) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলার করে। ঘটনার পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তদন্তে নামে র‌্যাব।

সুমনকে গ্রেফতারের পর র‌্যাব জানিয়েছে, বাচা ও কালু সুমন সম্পর্কে আপন চাচাতো ভাই। বাচা ও কালুর সৎ বোনকে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক উঠিয়ে গিয়ে সুমন ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় একটি ধর্ষণ মামলা এক বছর কারাভোগ শেষে বেরিয়ে আসে সুমন। এছাড়াও তাদের মাঝে বিভিন্ন সময় পারিবারিক জমি জমার সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ ছিল। মূলত এই বিরোধের জের ধরে বাচ্চাকে হত্যার করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা তুলে ধরে সুমন জানায়, বাচাকে হত্যার জন্য একটি বাহিনী ভাড়া করে সুমন। হাটহাজারীর চারিয়াতে একটি চায়ের দোকানে হত্যার পরিকল্পনা করে।হত্যার জন্য সোহেল বাহিনী আটটি চাপাতি ভাগাভাগি করে নেয়।

পরিকল্পনা মোতাবেক তিনটি সিএনজি ভাড়া করে প্রথম সিএনজি চেপে সুমন বাহিনীর সুমন, মনসুর, সোহেল, হামিদ বাইল্যা, ইমন ঘটাস্থলে অবস্থান নেয়।

দ্বিতীয় সিএনজিতে কাইয়ুম, হাসেম, রাশেদ, শাহিদ, আলাউদ্দিন যায় এবং তৃতীয় সিএনজিতে অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জন সেখানে অবস্থান নেয়।

সবাই একত্রিত হয়ে মো. হাসান ও বাচার ভাই মোমেন এলাহী কালুসহ বাচ্চাদের ওপর হামলা চালায়। এতে বাচা মারা যায়। হাসপাতালের আইসিইতে ভর্তি রয়েছেন বাচার ভাই মোমেন এলাহী কালু।

সুমনের মাকে কোনো একদিন বাচা মেরছিল সেই আক্রোশ থেকে সুমন ঘটনার সময় চাপাতি দিয়ে বাচার কব্জি কেটে ফেলে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নূরুল আবছার (গণমাধ্যম) এক বিবৃতিতে সুমনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের পর সুমন আত্মগোপনে ছিল। চট্টগ্রামে ফেরত আসার সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলেও জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

আরকে/আর এস