chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রামের প্রযুক্তিগত উন্নয়নে ফিলিপাইনের সহযোগিতা কামনা চসিক মেয়রের

নিজস্ব প্রতিবেদক : ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত মি. এল্যান এল. ডিন্যাইগা এর সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

আজ রোববার বিকেলে টাইগারপাস এলাকায় আলোচনার সময় তারা দুই দেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও পর্যটন শিল্প নিয়ে কথা বলেন ।

এই সময় রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশগুলোর মধ্যে
ফিলিপাইন অন্যতম। ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের ঐতিহাসিকভাবে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে।দুই দেশেই কৃষিপ্রধান এবং খাদ্যাভ্যাসও রয়েছে যথেষ্ট মিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলাইও রয়েছে ঐতিহ্যগত সামঞ্জস্য।
এছাড়া মেয়র চট্টগ্রাম নগরীর সৌন্দর্য্যরে কথা তুলে ধরে বলেন, পাহাড়, নদী, সমুদ্র বেস্টিত একটি নগরী, যার রয়েছে পর্যটন শিল্প বিকাশের প্রচুর সম্ভাবনা। চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি।
চসিক ইতিমধ্যে সমুদ্র সৈকতে একটি ওশান এমিউজমেন্ট পার্ক ও ঠান্ডাছড়ি পাহাড় ঘেরা এলাকায় রির্সোট নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এক্ষেত্রে ফিলিপাইনের বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হবে জানান ।

ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত মি. এল্যান ডিন্যাইগা বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীতে মেয়রকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, স্বাধীনতার ৫০বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি,
শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র বিমোচনসহ গুরুত্বপূর্ণ খাতসমূহে উল্লেখ্যযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অতি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক শহর। তিনি বলেন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ট্যানেল নির্মাণ, মাতারবাড়িতে ডীপ সী-পোর্ট, বে-টার্মিনাল প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশের হাব হয়ে দাঁড়াবে
এবং দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠবে। এখানে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি চট্টগ্রামে পর্যটন, কৃষি ও প্রযুক্তিগতভাবে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আশা প্রকাশ করে বলেন, উভয় দেশকে যৌথভাবে কাজ করার মাধ্যমে
দুইদেশের বাণিজ্য ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক ভিত্তি সুদূঢ় এবং সমৃদ্ধ করার প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর