chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

‘চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে পিসিআর ল্যাব না বসালে মন্ত্রণালয়ের সামনে অনশন’

নিজস্ব প্রতিবেদক: বন্দরনগরী চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবিলম্বে র‌্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন চসিকের সাবেক প্রশাসক ও নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। শিগগিরই বিমানবন্দরে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা না হলে ঢাকায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সামনে অনশনের ঘোষণা দিয়েছিন তিনি।

আজ বুধবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের প্রবেশ মুখে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

‘নাগরিক উদ্যোগ’ জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অনেক প্রবাসী অংশ নেন।

মানববন্ধনে সুজন বলেন, অনেক কষ্ট সত্ত্বে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে আমরা আজ মানববন্ধন করতে বাধ্য হয়েছি। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার দুইমাস অতিবাহিত হতে চললেও চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এখনো র‌্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়নি।

তিনি বলেন, করোনা মহামারি পুরো পৃথিবীকে তছনছ করে দিয়েছে। এর মধ্যে আমাদের দেশের ছেলেরা বিদেশে চাকরি ও ব্যবসা করে প্রচুর রেমিটেন্স দেশে পাঠাচ্ছে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে, ইউরোপ, আমেরিকার বিভিন্ন দেশে কর্মরত আছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার একটি নির্দেশনা জারি করেছে। তা হলো অন্য দেশের নাগরিকরা সেদেশে প্রবেশ করতে কিংবা বিভিন্ন রাজ্যে যেতে চাইলে তাদের করোনা টিকার সনদ, করোনা নেগেটিভ সনদ দেখাতে হবে। এ ছাড়া দেশ ত্যাগ করার ৮ ঘণ্টা আগে সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দরের র‌্যাপিড পিসিআর ল্যাবে টেস্ট করিয়ে সেদেশে প্রবেশ করতে হবে। এসব প্রক্রিয়া ছাড়া সে দেশে প্রবেশ করা যাবে না।

তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশের বিরাট অংশের মানুষ আরব আমিরাতের বিভিন্ন রাজ্যে কর্মরত আছেন। তাদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অর্থ উপার্জন করে দেশে প্রেরণ করে পরিবারকে সচ্ছল রাখছে এবং দেশকে সমৃদ্ধ করছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এই সমস্যা উপলবদ্ধি করে নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, প্রবাসী মন্ত্রণালয় ও বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়কে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি ভিত্তিতে র‌্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপন করতে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশনাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে কিছু দুষ্টুচক্রের লোক প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধাদের যাওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউসকে তিনি ঢাকা বিমানবন্দরে পাঠিয়েছিলেন। অনেক দেনদরবারের পর ঢাকাতে র‌্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়। কিন্তু যাত্রীর তুলনায় ওই বিমানবন্দরে ধারণ ক্ষমতা কম হওয়াতে প্রবাসীদের অনেক দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। এমনকি ২৫ হাজার টাকার টিকিট ৮৫ হাজার টাকায় কিনে বাহরাইন হয়ে আরব আমিরাত যেতে হচ্ছে। ঢাকায় ফ্লাইটের দুইদিন আগে গিয়ে থাকতে হচ্ছে। প্রবাসীদের ক্ষেত্রে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে।

সুজন অবিলম্বে জরুরি ভিত্তিতে র‌্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্যকর করার অনুরোধ জানান। তিনি চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের প্রধানকে চট্টগ্রামে বসে না থেকে ঢাকায় গিয়ে সমস্যা খুঁজে বের করতে বলেন। সমস্যা চিহ্নিত করে উপর মহলকে ও চট্টগ্রামের মানুষকে বলতে অনুরোধ করেন এবং চট্টগ্রাম বিমানবন্দরকে অকার্যকর করার যে ষড়যন্ত্র চলছে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

সুজন বলেন, আমরা চাই চট্টগ্রাম বিমানবন্দর কার্যকর হোক। আমাদের চট্টগ্রামের ছেলেরা আমাদের বিমানবন্দর দিয়ে কর্মস্থলে পৌঁছাক এবং তাদের চাকরি টিকিয়ে রাখুক। যদি চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে র‌্যাপিড পিসিআর ল্যাব বসানো না হয় আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সামনে গিয়ে অনশন করবো।

এসএএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর