chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

অন্য ধর্মের ওপর আঘাত করার অধিকার কারো নেই: হানিফ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, আমরা মুসলিমরা দাবি করি ইসলাম শান্তির ধর্ম। মাহফিলে হুজুরেরা শান্তির ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা না করে ভুল ব্যাখা দিচ্ছেন।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, কুমিল্লার ঘটনায় মূল আসামি আটক হয়েছে। তিনি একজন মুসলমান। মুসলমান হয়ে কুরআন শরীফকে তিনি মন্দিরে রেখে আসলেন। আমাদের কুরআনকে তিনি অসম্মানিত করেছেন।

আর আমরা সবাই ধর্মের কথা বলে সারাদেশে মন্দিরে মন্দিরে হামলা চালিয়ে দাঙ্গা শুরু করে দিয়েছি। অথচ অন্য ধর্মের ওপর আঘাত করার অধিকার কারো নাই।

আজ বিকেল ৩টায় কাজীর দেউড়ির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত চসিকের আলকরণ ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর তারেক সোলেমান সেলিমের নাগরিক শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রচিত আমাদের সংবিধানের চার মূলনীতি ছিলো-ধর্মনিরপেক্ষতা মানে অসাম্প্রদায়িকতা, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে নয় মাস যুদ্ধ করে আমরা এই সংবিধানের চার মূলনীতি রচনা করেছিলাম।

লোকজ সংস্কৃতিতে আমাদের সামাজিক বন্ধন ছিল। সেই সামাজিক বন্ধনে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ঢেলে দিয়েছে একটি গোষ্ঠি। অথচ বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ।

মাহবুবউল আলম হানিফ আরও বলেন, একজন ব্যক্তি যদি পরপর চার বার কাউন্সিলর নির্বাচত হন। তাহলে বুঝতে আর বাকি থাকে না। তিনি কত জনপ্রিয় ছিলেন। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি ও তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।

শোকসভার সদস্যসচিব জামশেদুল আলম চৌধুরীর পরিচালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক একে এম আফজালুর রহমান বাবু।

অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর আ.লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন নাগরিক শোকসভা কমিটির চেয়ারম্যান ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক সদস্য অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, কাউন্সিলর আলহাজ্ব আতা উল্লাহ, কাউন্সিলর নুরুল আলম, কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর জালাল উদ্দিন ইকবাল, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা শহিদুল চৌধুরী রাসেল, সিটি কলেজের সাবেক ছাত্রনেতা সাদেক হোসেন পাপ্পুর প্রমূখ। উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা মাহফুজুর রহমান রোটন।

জেএইচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর