chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমাতে বাণিজ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান সুজন

নিজস্ব প্রতিবেদক: নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে অস্বস্তিতে সাধারণ ক্রেতারা। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষরা হিমশিম খাচ্ছে পণ্য ক্রয়ে। এমতাবস্থায় বাণিজ্যমন্ত্রীর জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করলেন সাবেক চসিক প্রশাসক, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

আজ সোমবার (১১ অক্টোবর ২০২১ইং) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

এসময় তিনি বলেন করোনাভাইরাস মহামারীতে দফায় দফায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে বেকায়দায় পড়েছে সাধারণ ক্রেতা।

আটা, ময়দা, চাল, ডাল, পেঁয়াজ, সয়াবিন তেল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েই চলছে। এতে করে আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসাব মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে বেশিরভাগ মানুষ। একেতো করোনাকালে মানুষের উপার্জন কমে গিয়েছে, এর মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া সাধারণ মানুষের কাছে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা।

তাই জরুরি ভিত্তিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে না পারলে সত্যিকার অর্থেই সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন যাপন করা কঠিন হয়ে পড়বে।

তিনি আরো বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম জনগনের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য নানামূখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। সরকারের এতোসব উদ্যোগের মধ্যেও করোনাকালীন এই সময়ে কোন প্রকার ঘোষণা ছাড়াই আটা, ময়দা, চাল, ডাল, সয়াবিন তেল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে ক্রেতাসাধারণকে চাপে ফেলেছে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট।

প্রায়শই তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে সহজেই ক্রেতাদের কাছ থেকে অধিকহারে মুনাফা আদায় করে। দেখা যায় যে বাজারে নিত্যব্যবহার্য পণ্যের সংকট না থাকলেও ঐ সিন্ডিকেটটি অত্যন্ত সুকৌশলে পণ্যের সংকট সৃষ্টি করে জনগনের পকেট থেকে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেয়।

তাদের এহেন অপতৎপরতা রাষ্ট্রকে জিম্মি করার সামিল। এক্ষেত্রে তারা বিশেষ উৎসবকে টার্গেট করে। প্রায়শই রোজা, পুজা কিংবা কোরবানী আসলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে যায়। এখন সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের প্রধানতম ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দুর্গাপূজা চলছে। ঠিক এ সময়েও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সাধারণ ক্রেতাদের হাতের নাগালের বাহিরে চলে গিয়েছে। সরকারকে কঠোর হাতে এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের দমন করতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।

সুজন আরো বলেন, প্রতিটি বাজারে আমদানি মূল্য এবং বিক্রয় মূল্য প্রকাশ্যে টাঙানো থাকতে হবে। যাতে সহজেই ক্রেতাগণ আমদানি মূল্য এবং বিক্রয় মূল্য দেখে পণ্য ক্রয় করতে পারে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে দেখা যায় যে কোন বাজারেই পণ্যের মূল্য প্রকাশ্যে প্রদর্শন করা হয় না। যার ফলে একেক দোকানী একেক দরে পণ্য বিক্রয় করে। এতে করে প্রতারিত হন সাধারণ ক্রেতাগণ। তিনি বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের মূল্যতালিকা টাঙানো এবং নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে কি না সেটি পর্যবেক্ষণের জন্য বাজারে দ্রব্যমূল্য মনিটরিং কমিটিকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।

এছাড়া তিনি দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিকে রোধ করার লক্ষ্যে টিসিবি’র মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রির কার্যক্রমকে আরো জোরদার করার অনুরোধ জানান।

জেএইচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর