chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

এপ্রিলে রেমিট্যান্স এলো রেকর্ড ২০৬ কোটি ডলার

ডেস্ক নিউজ : বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনার প্রকোপের মধ্যেও প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেমিট্যান্স পাঠানো অব্যাহত রেখেছে। এ সময়ে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানো কয়েকগুণ বেড়েছে। গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় চলতি বছরের বিদায়ী এপ্রিলে রেমিট্যান্স প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

রোববার অর্থমন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, বিদায়ী এপ্রিলে ২০৬ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার (২ দশমিক ০৬ বিলিয়ন) রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরলে যার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৭ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা। গত বছর এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০৯ কোটি ডলার।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, লকডাউনের কারণে যোগাযোগ সীমিত হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া রমজানের কারণে ভালো সাহায্য-সহযোগিতাও আসছে। আর সরকারি ২ শতাংশ প্রণোদনার সঙ্গে অনেক ব্যাংক বাড়তি ১ শতাংশ অর্থ দিচ্ছে। ঈদের কারণে অনেকে টাকা পাঠাচ্ছেন, আবার জাকাতের টাকাও দেশে আসছে। ফলে ঈদের আগে প্রবাসী আয়ে বড় উল্লম্ফন দেখা গেছে। একই কারণে সামনের কয়েক দিনও প্রচুর ডলার আসবে।

এর আগে করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে গত বছরের জুলাই মাসে মাইলফলক রেমিট্যান্স পায় বাংলাদেশ। ওই মাসে প্রবাসীরা প্রায় ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এর আগে কোনো একক মাসে এত রেমিট্যান্স আসেনি।

ওয়েব আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর ৬ থেকে ৭ লাখ মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শ্রমবাজারে প্রবেশ করেন। তারা বছরে প্রায় ১৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠান। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকা। এ অংক দেশের মোট রফতানি আয়ের অর্ধেকের বেশি।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, বর্তমানে ১৭৪টি দেশে বাংলাদেশ শ্রমিক পাঠিয়ে আসছে, অংকে যার সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ২০ লাখের বেশি। যাদের তিন-চতুর্থাংশ কর্মরত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে।

করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর দেশে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছিল। তা গত মার্চে কমে আসে। তবে এপ্রিলে আবার বেড়েছে। গত মার্চ মাসে এসেছে ১৯১ কোটি ৬৫ লাখ ডলার।

এসএএস/এএমএস/চখ

এই বিভাগের আরও খবর