chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

মিরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি, ৩ দিনে ৪ জনের প্রাণহানি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই অংশে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে। গত তিনদিনে পৃথক তিনটি দুর্ঘটনায় ঝরে গেছে ৪ জনের প্রাণ। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।

গত ১২ মার্চ শুক্রবার থেকে আজ (১৪ মার্চ) রবিবারের মধ্যে এসব ঘটনাগুলো ঘটে। ফলে অনিরাপদ হয়ে উঠেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহসড়কের মিরসরাই অংশ।

জানা যায়, আজ রবিবার বেলা ১২ টায় মিরসরাইয়ের হিঙ্গুলী ব্রীজ এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায় খাগড়াছড়িগামী হিল কিং নামক একটি যাত্রীবাহী বাস। এতে প্রাণহানি না ঘটলেও বাসের বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বাসের যাত্রী নূর নাহার জানান, তিনি স্বামী সন্তানসহ মাটি রাঙা যাওয়ার উদ্দেশ্যে ফেনী থেকে হিল কিং বাসে উঠেন। কিন্তু বাসটি হিঙ্গুলী ব্রীজ এলাকায় এলে হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এসময় তারা সামান্য চোট পেয়েছেন। বাসে ২৫/৩০ জন যাত্রী ছিল বলে তিনি জানান।

এর আগে গত শুক্রবার (১২ মার্চ) রাতে উপজেলার মুহুরী প্রজেক্ট এলাকায় একটি নোহা-মাইক্রো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঢুকে পড়ে একটি চায়ের দোকানে। এতে গাড়ির ধাক্কায় দোকানে অবস্থানরত দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। আহত হয় আরো ছয় জন।

নিহতরা হলো ফেনীর সোনাগাজী থানার সোনাপুর গ্রামের আহসান উল্লাহর ছেলে শাখাওয়াত হোসেন শাওন (১৯) ও উপজেলার কাটাছড়া ইউনিয়নের তেমুহনী এলাকার সিদ্দিক আহমেদেও ছেলে কামাল উদ্দিন (৬৫)।

এ ঘটনায় নুরল করীম হৃদয় (২২), নজরুল ইসলাম (২৪), মাওলানা শহীদুল ইসলাম (৪০) ও সিএনজি অটোরিকশা চালক ইলিয়াস হোসাইন (৩৫) আহত হন।

তাছাড়া গতকাল শনিবার (১৩মার্চ) ভোরে মহাসড়কের নাহার এগ্রোর সামনের ইউটার্নে কক্সবাজার গামী একটি হাইসকে চাপা দেন চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা একটি লরি।

এতে ঘটনাস্থলে একজন ও হাসপাতাল নেওয়ার সময় আরও একজন মারা যান। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৬ যাত্রী।

জোরারগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরে আল মামুন জানান, অদক্ষ গাড়ি চালক,সচেতনতার অভাব ও যান্ত্রিক ক্রুটির কারনেই বেশির ভাগ দূর্ঘটনা ঘটছে।

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় চালকের গাড়ি চালানোর লাইসেন্স থাকলেও বাস্তবে তার দক্ষতার অভাব রয়েছে। এমনকি সড়কের অনেক নিয়ম কানুনও তার জানা নেই। ফলে সড়কে দূর্ঘটনা বাড়ছে।

সচেতন মহল মনে করেন, গাড়ির চালক ও হেলপারদের সচেতনতা মূলক পশিক্ষনের ব্যবস্থা করা এবং তাদের কাউন্সিলিং করা প্রয়োজন। প্রশিক্ষণ ও কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে পরিবহন শ্রমিকদের মানবিক উন্নয়ন ব্যাতীত মহাড়ক সুস্থ হবে না, সড়কের শৃঙ্খলা আসবে না।

তাই মহাসড়কসহ দেশের সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে পরিবহন শ্রমিকদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রশিক্ষণ ও কাউন্সিলিং অত্যন্ত জরুরি।

আরএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর