chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে

ডেস্ক নিউজ : বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণা থেকে জানা গেছে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে।

আত্মহত্যা প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)’র আয়োজনে কক্সবাজারে দুইদিনব্যাপী সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ তথ্যটি তুলে ধরেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় প্রতিনিধি তেরেসা তিথি।

সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ইস্যুতে জ্ঞানের পরিধি আরো বাড়বে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

দেশের স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সমন্বয়ে আয়োজিত এই সম্মেলনে সহযোগিতা করেছে সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন এজেন্সি (সিডা)।

আত্মহত্যা প্রতিরোধে সচেতনতাবৃদ্ধি এবং বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিই এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও মনোবিজ্ঞানীসহ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটাল, ঢাকা শিশু হাসপাতাল, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন সরকারি সংস্থা এবং উন্নয়ন সংস্থাগুলোর থেকে ৫৯ জন সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।

সম্মেলনে বাংলাদেশের জনগণের বর্তমান চাহিদাগুলোর মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য এবং মনো-সামাজিক সহায়তা একটি অন্যতম প্রয়োজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়াকে আত্মহত্যার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

বর্তমানে পৃথিবীব্যাপী মহামারীর কারণে ব্যক্তি এবং জনগোষ্ঠী উভয় স্তরে অতিরিক্ত অর্থনৈতিক ও সামাজিক চাপ সৃষ্টি করেছে। শিক্ষা এবং জীবিকা নির্বাহের সীমিত সুযোগের কারণে এই সমস্যাগুলো আরো প্রকট হয়ে উঠছে।

যদিও পৃথিবীব্যাপী জনগোষ্ঠীগুলো তাদের পরিস্থিতির উন্নতির জন্য ধারাবাহিকভাবে চেষ্টা করছে কিন্তু সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ, বিশেষত প্রবীণ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, মহিলা, শিশু, যুবক এবং সহিংসতা থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের মানসিক চাহিদা পূরণের জন্য আরও বেশি মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রয়োজন।

এই সম্মেলনে আত্মহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক আটটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও মনোবিজ্ঞানীবৃন্দ, জাতীয় ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটাল, ঢাকা শিশু হাসপাতাল, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, কক্সবাজারের আত্মহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক সাব-গ্রুপ এবং আইওএমের এমএইচপিএসএস ইউনিটের বিশেষজ্ঞগণ এই গবেষণাপত্রগুলো উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে আইওএম বাংলাদেশ মিশনের উপ-প্রধান ম্যানুয়েল মারকুয়েজ পেরেইরা বলেনঃ “আইওএম আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপযুক্ত এবং কার্যকর পদ্ধতির সন্ধানের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মানসিক স্বাস্থ্য সহযোগীদের সাথে একত্রে কাজ করছে। এগুলো কেবলমাত্র উপযুক্ত রেফারেল মেকানিজম তৈরি এবং এই খাতে যারা কাজ করে তাদের সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমেই এটি অর্জন করা যেতে পারে।“

দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের পর আইওএম প্রাপ্ত ফলাফল এবং সুপারিশগুলো সংকলন করতে এবং একটি অ্যাকশন প্লান বানাতে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করবে।

এই অ্যাকশন প্লান ও ফলাফল-সুপারিশগুলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে উপস্থাপন করা হবে।

আরএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর