chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণে ভারতের আনন্দ প্রকাশ

ডেস্ক নিউজ : স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরনের জন্য জাতিসংঘের সুপারিশ লাভ করায় আনন্দ প্রকাশ করেছে ভারত। প্রতিবেশীদের অর্থনৈতিক উন্নতি হলেও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। খবর দ্য হিন্দু বিজনেস লাইনের।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব গত শুক্রবার সাপ্তাহিক ব্রিফ্রিংয়ে বলেছেন, সম্প্রতি ঢাকায় এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এলডীসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের ভূয়সী প্রশংসা এবং গর্ব প্রকাশ করেছেন।
শ্রীবাস্তব বলেন, এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণে আমরা খুশি এবং এই প্রবৃদ্ধির পথে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখবে।

বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি দৈনিকের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে সাফটার (দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক মুক্তবাণিজ্য চুক্তি) অধীনে ভারতে যে শুল্ক ও কোটামুক্ত বাণিজ্য সুবিধা এতদিন পেত, এলডিসি থেকে উত্তরণের পরেও বাংলাদেশ সেটি পাবে কি না জানতে চাওয়া হয়েছিল ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের কাছে।

গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যকার একটি ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনে নতুন এই চুক্তির বিষয়টি সামনে আসে

শ্রীবাস্তব বলেন, ভারত-বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দেওয়া শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত সুবিধার প্রশংসা করেছেন। সাফটার ভিত্তিতে ২০১১ সাল থেকে ভারত বাংলাদেশকে এই সুবিধা দিয়ে আসছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সুপারিশ করেছে জাতিসংঘের উন্নয়ন নীতি সংক্রান্ত কমিটি (সিডিপি) । নিয়ম অনুযায়ী, এর আওতায় তিনটি শর্ত পূরণ হলে এবং পরপর দুটি পর্যালোচনায় এ মানদণ্ড ধরে রাখতে পারলে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পাওয়া যায়।

শর্ত তিনটি হলো- কমপক্ষে ১ হাজার ২৩০ মার্কিন ডলার মাথাপিছু আয় হতে হবে, মানবসম্পদ সূচকে ৬৬ পয়েন্ট ও অর্থনীতির ভঙ্গুরতা সূচকে ৩২ বা তার নিচে থাকতে হবে। বাংলাদেশ এসব শর্ত ২০১৮ থেকেই পূরণ করে আসছে।

নিয়মানুযায়ী প্রতি তিন বছর পরপর এই মানদণ্ড পর্যালোচনা করে সিডিপি। তবে বর্তমানে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দুই বছর বাড়িয়ে বাংলাদেশকে পরবর্তী পর্যালোচনার জন্য ২০২৬ সালের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, আগামী পাঁচ বছর উপরের তিনটি মান ধরে রাখতে পারলেই মিলবে উন্নয়নশীল দেশের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি।

ইনি/এএমএস/চখ

এই বিভাগের আরও খবর