কাউন্সিলর হয়ে নারীদের আইনি সহায়তা দিতে চান জিন্নাত আরা
২৮,২৯ ও ৩৬ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ড, জনতার মুখোমুখি কাউন্সিলর
নিজস্ব প্রতিবেদক
মহিলা কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে অসহায় নারীদের কাছে আইনি সহায়তা পৌছে দিতে চান ১১ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী জিন্নাত আরা বেগম। চট্টলার খবরের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা জানান।
জিন্নাত আরা বলেন, সমাজে নারীরা সব সময় অবহেলিত। দেশে প্রতিনিয়ত নারীরা নির্যাতিত হচ্ছে। তবে বেশিরভাগ নারী প্রয়োজনীয় আইনি সহয়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে ২৮,২৯ ও ৩৬ নং ওয়ার্ডে নারীদের পর্যাপ্ত আইনি সহয়তা নিশ্চিত করব।
তিনি বলেন, আমি সব সময় অসহায় এবং এতিমদের পাশে ছিলাম। আগামীতে যদি কাউন্সিলর নির্বাচিত হয় তাহলে আমার দায়িত্ব আরও বাড়বে। ফলে আরো বড় পরিসরে আমি এসব অসহায় এবং নিঃস্ব মানুষের জন্য কাজ করতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, এই ওয়ার্ড নিয়ে আমার কিছু পরিকল্পনা আছে। এই ওয়ার্ডকে জলাবদ্ধতা মুক্ত করতে আমি সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করব। সিটি কর্পোরেশনের নাগরিক সেবা আমি ওয়ার্ডের প্রতিটি নাগরিকের দোরগোড়ায় পৌছে দেওয়ার চেষ্টা করব।
জিন্নাত আরা বলেন, এই ১১নং সংরক্ষিত ওয়ার্ড হবে একটি মাদকমুক্ত ডিজিটাল ওয়ার্ড। এখানে থাকবে না মাদকের কালো থাবা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে প্রতিটি নাগরিকের কাছে সরকারের ডিজিটাল সেবা পৌছে দেওয়ার চেষ্টা করব।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছিল। যদিও চক্রান্ত করে সে মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। তবে এতে আমার কোনো আক্ষেপ নেই। দলের সিদ্ধান্ত আমি সব সময় মেনে নেব।
তিনি বলেন, আমি মনেকরি কাউন্সিলর পদটি অর্জনের বিষয়। জনগণ আমার পাশে থাকলে ইনশাআল্লাহ আমি এই পদ অর্জন করতে সক্ষম হবো। এই জনগণই আমার শক্তি। তাদের প্রতি আমার শতভাগ আস্থা আছে। আশাকরি তারা আমাকে বিমুখ করবেনা।