বধ্যভূমির জৌলুস বাড়ে ডিসেম্বরই!
নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাস। চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকায় ট্রেন থেকে নামিয়ে এবং আশপাশের এলাকা থেকে ধরে এনে নিরীহ বাঙালিকে হত্যা করা হয় ফয়’স লেকে। পুরো ৯ মাস ধরে এ স্থানটিকে বধ্যভূমি হিসেবে ব্যবহার করেছিল পাকিস্তানী বাহিনী ও বিহারীরা।
এরপর কেটে গেছে চারযুগ। কিন্তু এ বধ্যভূমি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়নি কেউ। উল্টো সেই বধ্যভূমিটি বেদখলে চলে গেছে। বধ্যভূমি থেকে কিছু দূরে নির্মাণ করা হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। ডিসেম্বর আসলেই সেখানে রঙ দিয়ে সৌন্দর্য করা হয়।
শুধু চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ফয়‘স লেকই নয়, নাথপাড়া বা আবদুরপাড়াসহ চট্টগ্রাম নগরীতে একাত্তরের স্মৃতি বিজড়িত এমন ৭৭টি স্থান রয়েছে। যেগুলো মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ মানুষদের ওপর চালানো নির্যাতন-হত্যাযজ্ঞের সাক্ষী হয়ে আছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে এসব বধ্যভূমির স্মৃতি সংরক্ষণের দাবি উঠলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরিপূর্ণভাবে একটি বধ্যভূমিও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে ।
সম্প্রতি সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, মহান বিজয় দিবস ও বুদ্ধিজীবী দিবসকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে পক্ষ থেকে বধ্যভূমিতে রঙ লাগানোর কাজ চলছে। দায়িত্বে নিয়োজিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফরিদ আহমেদ চট্টলার খবরকে বলেন, চট্টগ্রামে মাত্র একটি বধ্যভূমি সিটি কর্পোরেশন তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এই বধ্যভূমিতে বিশেষ দিবস উপলক্ষে সাজানো হয়।
এসএএস/নচ