শিক্ষকতা চালিয়ে যাবেন মার্কিন ফার্স্টলেডি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। এর ফলে নতুন মার্কিন ফার্স্টলেডি হতে যাচ্ছেন তাঁর স্ত্রী জিল বাইডেন।
এদিকে স্বামীর জয়ের পর হোয়াইট হাউজের ব্যস্ততা সামলে শিক্ষকতা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জিল বাইডেন।
তাই যদি হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের ২৩১ বছরের ইতিহাসে প্রথম ফার্স্ট লেডি হিসেবে বিরল একটি রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন জো বাইডেনের স্ত্রী জিল বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ফার্স্ট লেডিদের নানা ধরনের কাজ করতে হয়। সেসব সামলে অন্য কাজ করা কঠিন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ফার্স্ট লেডি পারিশ্রমিকের বিনিময়ে এভাবে অন্য পেশায় থাকেননি।
জো বাইডেন যেদিন মনোনয়ন নেন, সেদিন কলেজ থেকেই অনলাইনে বিবৃতি দেন জিল। তিনি বলেন, ‘আমি অনেক অভিবাসী এবং শরণার্থীকে পড়াই। তাদের গল্প আমি ভালোবাসি। আমরা হোয়াইট হাউজে গেলেও কাজ ছাড়ছি না।’
জিল অবশ্য জো বাইডেনের দ্বিতীয় স্ত্রী। তার প্রথম স্ত্রী নিলিয়া হান্টার ও মেয়েকে তিনি হারান এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায়। নিজের বড় ছেলেকেও ২০১০ সালে হারান ক্যান্সারে।
কয়েক মাস আগে ডেমোক্রেটিক পার্টির কনভেনশনে নিজের স্ত্রীর পরিচয়টা এভাবে দিয়েছিলেন জো বাইডেন-
‘দেশজুড়ে আপনার যারা আছেন তাদের সবাইকে বলছি, আপনাদের সেই প্রিয় শিক্ষকটির কথা ভাবুন যিনি নিজেকে বিশ্বাস করার মতো আস্থা আপনাদের মধ্যে সৃষ্টি করেছিলেন। জিল বাইডেন তেমনই এক ফার্স্টলেডি হবেন।’
১৯৭৫ সালে নিউ ইয়র্ক সিটিতে বিয়ে হয় বাইডেন ও জিলের। ১৯৮২ সালে এই দম্পতির কন্যা সন্তান অ্যাশলির জন্ম হয়।
৬৯ বছর বয়সী জিল কয়েক দশক কাটিয়েছেন শিক্ষকতা পেশায়। দুই বিষয়ে স্নাতোকোত্তর এই নারী ২০০৭ সালে ইউনিভার্সিটি অব দিলাওয়ার থেকে শিক্ষায় ডক্টরেট করেছেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে বসবাসের আগে তিনি একটি কমিউনিটি কলেজ, একটি সরকারি স্কুল ও কিশোরদের একটি মানসিক হাসপাতালে শিক্ষকতা করেছেন।
১৯৯১ থেকে ৯৩ সাল পর্যন্ত তিনি দিলওয়ারের ব্রান্ডিওয়াই হাইস্কুলে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। ওবামা আমলে তার স্বামী যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তখন তিনি নর্দার্ন ভার্জিনিয়া কমিউনিটি কলেজের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।
এমআই/চখ