chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

অ্যামাজন,নেটফ্লিক্সসহ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান থেকে ১০% ভ্যাট নিবে ইন্দোনেশিয়া

ডেস্ক নিউজঃ অ্যামাজন, নেটফ্লিক্স, স্পটিফাই এবং গুগলের মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ শতাংশ ভ্যাট নিবে ইন্দোনেশিয়া

জানা গেছে, নভেল করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট কোভিড-১৯ মহামারীতে বিপর্যস্ত বৈশ্বিক অর্থনীতি। ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবে দেশে দেশে আর্থিক সংকট তীব্র হচ্ছে। ভাইরাস মোকাবেলায় অর্থ ঢালতে গিয়ে অনেক দেশের সরকারি তহবিল তলানিতে গিয়ে ঠেকছে। এ অবস্থায় বর্তমান সময় ও ভাইরাসপরবর্তী আয় বাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠবেন সরকারপ্রধানরা। যার অংশ হিসেবে আয়ের নতুন নতুন উৎস খুঁজে বের করার পাশাপাশি বিরাজমান খাতে বাড়তে পারে কর আরোপ। এমন পথেই হাঁটল ইন্দোনেশিয়া সরকার। দেশটিতে ইন্টারনেট সেবাদানকারী জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসায় আরোপ করা হলো মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট। ডিজিটাল পণ্য ও সেবা বিক্রিতে সরকারকে এ ভ্যাট পরিশোধ করতে হবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে।

এক বিবৃতিতে দেশটির কর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস, নেটফ্লিক্স, স্পটিফাই এবং গুগল এশিয়া প্যাসিফিক, গুগল আয়ারল্যান্ড ও গুগল এলএলসি ইউনিটকে কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) দিয়েছে দেশটি।

নতুন ভ্যাট নীতিমালার আওতায় যে বিদেশি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো ইন্দোনেশিয়ায় পণ্য বা সেবা বিক্রি করে বছরে অন্তত ৬০ কোটি ইন্দোনেশীয় রুপি বা ৪১ হাজার ৬৬৭ মার্কিন ডলার আয় করে বা বছরে অন্তত ১২ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে আয় করে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোকেই ১০ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে– খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। দ্রুত গতিতে বাড়ছে দেশটির ডিজিটাল অর্থনীতি। ২০২৫ সালের মধ্যে দেশটির ডিজিটাল অর্থনীতি ১৩ হাজার কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়াবে বলে ধারণা দিয়েছে গুগল, টেমাসেক হোল্ডিংস এবং বাইন অ্যান্ড কোম্পানির গবেষণা।

করোনাভাইরাস মহামারীতে ব্যবসায়িক কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় এ বছর রাষ্ট্রের বার্ষিক আয় ১৩ শতাংশ কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় প্রায় পাঁচ হাজার কোটি মার্কিন ডলার খরচ করছে ইন্দোনেশিয়া, যা দেশটির ২০২০ সালের বাজেট ঘাটতির তিনগুণেরও বেশি।

ইন্দোনেশিয়ার কর অফিসের মুখপাত্র হেস্তু ইওগা সাকসামা বলেন, “বাইরের একই ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে কর অফিস, ডিজিটাল পণ্যের জন্য ভ্যাট আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়বে বলেই মনে হচ্ছে।”

এই বিভাগের আরও খবর