chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

২২০ কেজি হরিণের মাংসসহ আটক ৩

বরগুনার পাথরঘাটার বিষখালী নদী থেকে ২২০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। এসময় তিন পাচার কারীরে আটক করা হয়েছে।

আজ সোমবার (৮ এপ্রিল) সকালে হরিণঘাটা বনে অভিযান চালালে চোরাকরবারিরা পালানোর সময় বিষখালী নদী থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের তাফালবাড়িয়া এলাকার আলী হোসেনের ছেলে আফজাল হোসেন (৪৫), আব্দুল হকের ছেলে হারুন (৩৫) এবং একই ইউনিয়নের খলিফাহাট এলাকার আব্দুল করিম হাওলাদারের ছেলে আব্দুল মান্নান (৫৫)।

কোস্টগার্ডের দনি জোনের পাথরঘাটা স্টেশনের কন্টিজেন্ট কমান্ডার জানান, সুন্দরবন থেকে কয়েকজন পাচারকারী হরিণের মাংস নিয়ে বিষখালি নদী দিয়ে পাথরঘাটায় আসছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হরিণঘাটা বনে অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিষয়টি চোরাকারবারিরা টের পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ধাওয়া দিয়ে হরিণঘাটা বনের দক্ষিণের বিষখালি নদী থেকে ৩ জনকে আটক করা হয়।

এসময় ২জন পালিয়ে গেলেও ট্রলারে তল্লাশি করে হরিণের ৩টি মাথাসহ ২২০ কেজি মাসং উদ্ধার করা হয়। পরে মাংসগুলো বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আটক আফজাল হোসেন জানান, ৫ দিন আগে পাথরঘাটার বলেশ্বর নদীতে মাছ শিকারের জন্য যান তারা। পরপর দুদিন মাছ না পেয়ে মাঝি আবুল বাশারের নির্দেশে সুন্দরবনে প্রবেশ করে হরিণ শিকার করেন। সেখান থেকে দশটি হরিণ শিকার করে মাংস নিয়ে সোমবার সকালে বিষখালি নদী হয়ে পাথরঘাটার দিকে আসেন তারা। কোস্টগার্ডের ধাওয়া খেয়ে রশিদ শিকদারের ছেলে আবুল বাসার মাঝি ও সাহাদাত হোসেন পালিয়ে যায়।

বনবিভাগের হরিণঘাটা বিট কর্মকর্তা আব্দুল হাই জানান, উদ্ধার হওয়া ৩টি মাথা ও ২২০ কেজি হরিণের মাংস বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মাংসগুলো বিকেল ৫টায় আদালতের নির্দেশে কেরোসিন দিয়ে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও আটকদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা দিয়ে পাথরঘাটা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

 

তাসু | চখ

এই বিভাগের আরও খবর