chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস আজ

বাংলাদেশ স্কাউটস হলো বাংলাদেশের জাতীয় স্কাউট সংগঠন। এই অঞ্চলে স্কাউটিং কর্মকাণ্ড শুরু ১৯১৪ সালে তৎকালিন পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) স্কাউট অ্যাসোসিয়েশনের ব্রিটিশ ভারতীয় শাখার অংশ হিসাবে। পরে ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ স্কাউট এসোসিয়েশনের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় “বাংলাদেশ স্কাউটস”। ২০১৫ সালের হিসাবে বাংলাদেশে মোট স্কাউটের সংখ্যা ১,৪৭৪,৪৬০ জন।

সোমবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস। তৃতীয়বারের মতো দেশব্যাপী উদযাপিত হচ্ছে দিবসটি। এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট স্কাউটিং, স্মার্ট সিটিজেন’।

স্কাউটিং বিশ্বব্যাপী একটি স্বেচ্ছাসেবী ও শিক্ষামূলক যুব আন্দোলন। শিশু, কিশোর ও যুবকদের শারীরিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক, সামাজিক ও বুদ্ধিভিত্তিক উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল, সৎ, চরিত্রবান, দেশপ্রেমিক ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই স্কাউট আন্দোলনের অন্যতম উদ্দেশ্য। ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটেনের ব্রাউন্সি দ্বীপে স্কাউট আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল স্কাউটিং কার্যক্রমের সূচনা করেছিলেন।

দিবসটি উদযাপনে কেন্দ্রীয়ভাবে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ স্কাউটস-এর সদর দপ্তর। এ ছাড়া বিভিন্ন অঞ্চল, জেলা, উপজেলা ও ইউনিটেও নানা কর্মসূচি পালন করা হবে।

রোববার এক চিঠির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে স্কাউটস-এর জাতীয় সদর দপ্তর। জানা যায়, বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস উদযাপন উপলক্ষে নানা আয়োজন করেছে সদর দপ্তর। এ উপলক্ষে সোমবার সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হবে। পরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ করা হবে।

এতে প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ স্কাউটস-এর প্রধান জাতীয় কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ স্কাউটস-এর জাতীয় কমিশনার (স্পেশাল ইভেন্টস) ও মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটির এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফসিউল্লাহ। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক (অ.দা.) উনু চিংসহ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্কাউটস-এর সদর দপ্তরের সব সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া উপস্থিত থাকবেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

বর্তমান বিশ্বের ১৭৩টি দেশের ৪ কোটি ৩০ লাখ শিশু, কিশোর ও যুবকরা স্কাউট প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করে আত্মনির্ভরশীল, পরোপকারী, সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠার মন্ত্রে উজ্জীবিত রয়েছে।

স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ৮-৯ এপ্রিল দেশের স্কাউট নেতারা ঢাকায় এক সভায় মিলিত হয়ে গঠন করেন ‘বাংলাদেশ স্কাউট সমিতি’। একই বছরের ৯ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতির ১১১ নং অধ্যাদেশ বলে ওই সমিতি সরকারি স্বীকৃতি লাভ করে এবং স্বাধীন বাংলাদেশে স্কাউটিংয়ের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশ স্কাউটস বিশ্ব স্কাউট সংস্থার ১০৫তম সদস্য। ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ জুন জাতীয় কাউন্সিলের পঞ্চম সভায় পুনরায় এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘বাংলাদেশ স্কাউটস’।

 

মোহভ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর