আজ বিশ্ব সুখ দিবস
সুখ মানেই মানবিক অনুভূতি। সুখ মনের অবস্থা বা অনুভূতি যা ভালোবাসা, তৃপ্তি, আনন্দ বা উচ্ছ্বাস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
আজ বুধবার (২০ মার্চ) বিশ্ব সুখ দিবস। দিবসটির লক্ষ্য হলো- মানুষকে সহজ, দৈনন্দিন সুখের অভ্যাস অনুশীলন করতে উৎসাহিত করে বিশ্বকে একটি মানবিক এবং সুখী জায়গা করে তোলা।
জৈবিক, মানসিক, মনস্তাত্ত্বিক, দর্শনভিত্তিক এবং ধর্মীয় দিক থেকে সুখের সংজ্ঞা নির্ধারণ এবং এর উৎস নির্ণয়ের চেষ্টা করা হয়ে থাকে। যদিও সঠিকভাবে সুখ পরিমাপ করা অত্যন্ত কঠিন। গবেষকেরা একটি কৌশল উদ্ভাবন করেছেন যা দিয়ে সুখের পরিমাপ কিছুটা হলেও পরিমাপ করা সম্ভব।
২০১২ সালের ২৮ জুন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এক অধিবেশনে এই দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অধিবেশনে জাতিসংঘের ১৯৩টি দেশের প্রতিনিধিরা দিবসটিকে স্বীকৃতি দেন।
সুখ দিবস পালন বিষয়ে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের প্রস্তাবে বলা হয়, মানুষের জীবনের মূল উদ্দেশ্য সুখে থাকা। ভারসাম্যপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণসহ পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের সুখ-সমৃদ্ধি নিশ্চিতে দিবসটি পালন করা হবে। সদস্যভুক্ত দেশগুলোর ওপর পূর্ণ এক বছর জরিপ পরিচালনা করে এই দিবসে সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ করে থাকে জাতিসংঘ।
বুধবার (২০ মার্চ) জাতিসংঘের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত জরিপ প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ১৪৩টি দেশকে। যেখানে বিশ্বের সুখী দেশ নিয়ে বার্ষিক তালিকা প্রকাশ করা হয়।
তালিকায় বলা হয়, বিশ্বে টানা সপ্তমবারের মতো সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ফিনল্যান্ড। যদিও এ তালিকায় পিছিয়েছে বাংলাদেশ। অ্যদিকে তালিকায় একেবারে তলানিতে রয়েছে আফগানিস্তান।
২০২৪ সালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ রয়েছে ১২৯তম অবস্থানে। গত বছর এ অবস্থান ছিল ১১৮। সে হিসাবে এ বছর বাংলাদেশের অবস্থান ১১ ধাপ পিছিয়েছে। গতবারের আগের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে বাংলাদেশ ছিল তালিকার ৯৪ নম্বরে।
মোহভ/চখ