chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

কলকাতায় নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন

কলকাতায় যথাযথ মর্যাদায় বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপিত হয়েছে। 

আজ রবিবার (১৭ মার্চ) কলকাতায় বাংলাদেশি উপ-দূতাবাস প্রাঙ্গণে একাধিক কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটি উদ্‌যাপন করা হয়। পাশাপাশি এদিন বাংলাদেশের জাতীয় শিশু দিবসও পালন করা হয়। সকালে বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য মুজিব চিরঞ্জীব এ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

শ্রদ্ধা জানান কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস ও উপ-দূতাবাসের সব কর্মকর্তা।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তার। এরপর বাংলাদেশ গ্যালারিতে বঙ্গবন্ধুর উপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। পাঠ করে শোনানো হয় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী।

এদিন উপ-হাইকমিশনের অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধুর ছাত্রজীবনের স্মৃতিবিজড়িত ইসলামিয়া কলেজের (বর্তমানে মৌলানা আজাদ কলেজ) বেকার হোস্টেলে তার কক্ষে স্থাপিত প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধুর আত্মার শান্তিতে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এসময় সেখানে উপ-কমিশনার আন্দালিব ইলিয়াসের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন উপ-দূতাবাসের প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেন, প্রথম সচিব (ভিসা) মোহাম্মদ আলমাস হোসেন, প্রথম সচিব (বানিজ্য) মোহাম্মদ আরিফুল ইসলামসহ আরও অনেকে।

আলোচনা সভায় উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, আজ বাংলাদেশের জাতির জনক ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী। এই দিনটি আমাদের জন্য সবচেয়ে আনন্দের। তার জন্মের কারণে গোটা বিশ্বের ইতিহাস পাল্টে গেছে। বিশ্ব যে আজ নতুন দিকে এগোচ্ছে, তার মূল নায়ক বঙ্গবন্ধু।

তিনি আরও বলেন, কলকাতা থেকে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের নেতৃত্বের আবির্ভাব হয়েছিল। তিনি ইসলামিয়া কলেজে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ইসলামিয়া কলেজের বেকার হোস্টেলে ২৪ নম্বর কক্ষসহ, যে কক্ষগুলোতে তার বিচরণ ছিল, সেগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেছি। একটি দেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর যে অবদান, তা আজকের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা স্মরণ করবো।

এদিন দুপুরে উপ-কমিশনের বাংলাদেশ গ্যালারিতে শিশু ও কিশোরদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। সন্ধ্যায় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে শিশু-কিশোর ছাড়াও কলকাতার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছেন, তারা অংশ নেবেন।

 

 

 

তাসু | চখ

এই বিভাগের আরও খবর