chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চমেকে বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষ্যে সেমিনার আয়োজন

বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ও হাসপাতালের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় বৈজ্ঞানিক সেমিনার।

সোমবার (১১ মার্চ) সকালে চমেক হাসপাতলের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বৈজ্ঞানিক সেমিনারে কিডনি রোগের নানা কারণ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে আলোচনা করেন। পরে দিবসটি উপলক্ষে র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি চমেকের শাহআলম বীর উত্তম মিলনায়তন থেকে শুরু হয়ে চমেক হাসপাতালে এসে শেষ হয়।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কিডনি রোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রোজান্না বিনতে কামাল।

এতে বলা হয়, প্রায় ১০-৩০ শতাংশ বা আরো বেশি নেফ্রাইটিসের কারণে, ২০-৩০ শতাংশ ডায়াবেটিসের কারণে এবং ১০-২০ শতাংশ কিডনি বিকল হয় উচ্চ রক্তচাপের কারণে। এছাড়া বংশগত কারণে, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাল সংক্রমণে, কিডনিতে পাথর হলে, অস্বাস্থ্যকর ডায়েটে এবং ওষুধের প্রভাবেও কিডনিজনিত রোগ হতে পারে। ৮০ ভাগ লোকের কিডনি নষ্ট হওয়ার পিছনে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও নেফ্রাইটিস (কিডনির বিভিন্ন সমস্যা)- এই তিনটি কারণ রয়েছে। সবার পক্ষে কিডনি রোগের চিকিৎসা ব্যয়ের যোগান দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে সচেতন থাকলে ৫০ থেকে ৬০ ভাগ ক্ষেত্রে কিডনি বিকল প্রতিরোধ করা সম্ভব।

চমেক হাসপাতালের কিডনি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. নুরুল হুদা বলেন, কিডনি রোগের ক্ষেত্রে কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা নিতে হবে। চিকিৎসকরা সাধারণত প্রথমেই রোগ নির্ণয় করার জন্য রোগীর রক্তের ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন এবং ইলেকট্রোলাইটসহ অন্যান্য পরীক্ষা দিয়ে থাকেন। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে চিকিৎসা শুরু করা জরুরি। রোগীর রক্তচাপ কম থাকলে সেটা স্বাভাবিক করার ব্যবস্থা করাও জরুরি। সঠিক সময়ে রোগ শনাক্ত না হওয়ার কারণে ক্রনিক কিডনি ডিজিজ আরও খারাপের দিকে অগ্রসর হয়ে কিডনি ফেইলিউরের ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং স্টেজিং এর দিক থেকে এটি শেষ পর্যায়ের কিডনি রেনাল ডিজিজ হিসেবে চিহ্নিত হয়। এক্ষেত্রে ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপনের মতো ব্যয়বহুল চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে।

অধ্যাপক ডা. মো নুরুল হুদার সভাপতিত্বে সেমিনারে অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আব্দুর সাত্তার, চট্টগ্রাম মা ও শিশু মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ কাসেম, নিউরোসার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. রবিউল করিম।

 

মুন/চখ

এই বিভাগের আরও খবর