chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

পলাশ, শিমূল, কৃষ্ণচূড়ার রঙে রাঙা চট্টগ্রাম

প্রখর রোদের উত্তাপ গায়ে মেখে পতাকার  রক্তিম টুকটুকে লাল রাঙে কৃষ্ণচূড়ায় সেজেছে চট্টগ্রামের সিআরবির প্রকৃতি।  লাল ফুলে সু-সজ্জিত প্রকৃতি যেন জানান  দিছে  আজ ২রা মার্চ বাংলাদেশে প্রথম পতাকা দিবসের কথা ,জানান দিছে অগ্নিঝরা মহান স্বাধীনতা কথা। নগরীরর  বিভিন্ন স্থানের পথে প্রান্তরে ফুটেছে কৃষ্ণচূড়া। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, গ্রীষ্মের রৌদ্দুরের সবটুকু উত্তাপ গায়ে মেখে নিয়ে ফুটেছে সবুজ চিরল পাতার মাঝে এই রক্তিম পুষ্পরাজি, যেন আগুন জ্বলছে।

গ্রীষ্মের ঘামঝরা দুপুরে প্রচণ্ড তাপদাহে ওষ্ঠাগত পথিকের মনে কৃষ্ণচূড়ার ছায়া যেন প্রশান্তি এনে দেয়। পথচারীরা অবাক বিস্ময়ে, পুলকিত নয়নে উপভোগ করেন কৃষ্ণচূড়ার এই অপরুপ সৌন্দর্য। কৃষ্ণচূড়াকে সাধারণত আমরা এসব অঞ্চলে লাল রঙেই দেখতে খুব বেশি অভ্যস্ত। তবে উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের মতে, কৃষ্ণচূড়া তিন রঙের হয়। লাল, হলুদ ও সাদা। কম হলেও হলদে রঙের কৃষ্ণচূড়া চোখে পড়ে। তবে সাদা রঙের কৃষ্ণচূড়ার দেখা মেলে না বললেই চলে। তিন রঙের কৃষ্ণচূড়া গাছর উঁচুতে অনেকটা জায়গা জুড়ে বিস্তার ঘটায়। বসন্ত শেষে ও গ্রীষ্মের রোদের দাহের মধ্যে প্রায় একই সময়ে তিন রঙে-ই কৃষ্ণচূড়া ফুল ফোটে প্রকৃতিকে নতুন রুপ দেয়। শুষ্ক ও লবণাক্ত অবস্থায় এই বৃক্ষ প্রাকৃতিকভাবেই জন্মে থাকে।

পলাশ, শিমূল, কৃষ্ণচূড়ার রঙে রাঙা চট্টগ্রাম

সরেজমিন দেখা গেছে, নগরীর  সিআরবিসহ  প্রতিটি সড়কেই কৃষ্ণচূড়া, পলাশ ও শিমূল ফুলের দেখা মিলছে। তার মধ্যে চট্টগ্রামে সদর, চটগ্রাম কলেজ ক্যাম্পাস, ডাক্তার খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন এলাকায় কৃষ্ণচূড়ার শাখায় শাখায় এখন রক্তাক্ত লাল হয়ে ফুটে আছে এই ফুল। শোভা বর্ধনকারী এ বৃক্ষগুলো দেশের গ্রামীণ জনপদের পাশাপাশি শহরের মানুষের কাছেও সমান গুরত্ব বহন করে। এর কাঠ তুলনামূলক দামী না হওয়া এবং ভালো কোনো ব্যবহারে না আসায় বাণিজ্যিকভাবে এ গাছ বপনে আগ্রহ অনেক কম। তবে শখের বেলায় এর কদর রয়েছে বেশ।

 

“গন্ধে উদাস হাওয়ার মতো উড়ে তোমার উত্তরী কর্ণে তোমার কৃষ্ণচূড়ার মঞ্জরি” কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো অনেকেই বাংলা কবিতা-গানে উপমা হিসেবে নানা ভঙ্গিমায় এনেছেন কৃষ্ণচূড়াকে। জাতিয় বিভিন্ন পরিচয়ের সাক্ষি কৃষ্ণচূড়ায় ।বায়ান্ন থেকে  স্বাধীনতা বিজয় থেকে বসন্তে   সব কিছুতে জড়িয়ে আছে এই ফুল।

কৃষ্ণচূড়া ফুলের রক্তিম জাগরণ পথচারিদের মুহূর্তের জন্য হলেও শিহরণ জাগায় এবং রোদ্দুর দুপুরে কৃষ্ণচূড়ার ছায়া দেয় প্রশান্তি।তবে বর্তমানে বৃক্ষ নিধনের শিকার হয়ে কমে যাচ্ছে রঙিন এই গাছ। এক সময় এ গাছ হারিয়ে যাবে এ শঙ্কায় স্থানীয় প্রকৃতিপ্রেমীরা। তবে এই গাছ রক্ষণাবেক্ষণ করা হলে এ সৌন্দর্য চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে। এতে করে স্থানীয়রা যেমন প্রশান্তি পাবেন, তেমনি পথচারীরা মুগ্ধ হবেন। এর বড় খ্যাতি হলো গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপদাহে যখন এই ফুল ফুটে তখন এর রূপে মুগ্ধ হয়ে যে কোনো পথচারী থমকে তাকাতে বাধ্য হয়।

এই বিভাগের আরও খবর