বাথরুমের ভাঙা কমোড থেকে শুরু করে নানা আকারের পলিথিন ও গৃহস্থালি বর্জ্য কি নেই ?? হাঁপিয়ে পরেন অর্ধশতাধিক পরিচ্ছন্নকর্মী। দীর্ঘদিন ধরে এ আবর্জনার স্তূপ প্রবর্তকের রুপালি গিটার চত্বরের পাশের নালায় পরে ছিল।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরের প্রবর্তক মোড়ে স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে এভাবে খাল নালা থেকে বর্জ্য অপসারণ কাজের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে ৩৬ টি খালের উন্নয়ন কাজ চলছে। নালা পরিষ্কার এর দায়িত্ব চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) এর। আমরা এগুলো পরিষ্কার করছি, মাটি উত্তোলন করছি এবং এইটি চলমান থাকবে।
তিনি জানান, সামনে থেকে যদি নালায় ময়লা পাওয়া যায় এবং যে ব্যাক্তি ময়লা ফেলবে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে ও জরিমানা করা হবে। জনগণকে সচেতন করতে মাঠে নেমেছি। জনগণ যদি সচেতন না হয় আমরা কখনো এই শহর কে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পারব না। জনগণ যদি সচেতন হয় বর্ষায় পানি উঠলেও দ্রুত নেমে যাবে। ভৌগোলিক কারণে পানি উঠবে।
তিনি আরও জানান, আমরা পলিথিন এর জন্য জরিমানা আনেক দোকান কে করেছি। এখন পলিথিনের কারখানার তালিকা করছি এবং অতি সীগ্রিই এসব কারখানায় অভিযান চালানো হবে।
চউকের সঙ্গে সমন্বয় আছে জানিয়ে তিনি বলেন, এতগুলো খালের মাটি উত্তোলন, রিটেইনিং ওয়াল, গাইড ওয়াল, স্লাব বসানো সময়সাপেক্ষ কাজ। আমরা বলেছি অন্ততপক্ষে খালের মাটি উত্তোলন করে দিতে হবে, পানি নিষ্কাশন যাতে হয়।
এ সময় চসিক কাউন্সিলর মো. নূর মোস্তফা টিনু, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমী, জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমদ, মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মোহভ/চখ