chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

রাষ্ট্রীয় সুযোগ থেকে বঞ্চিত পথশিশুরা

জড়াছে মাদকসহ নান অপকর্মে

রাস্তায় জন্ম রাস্তায় বেড়ে ওঠা যাদের তাদের পরিচয় পথশিশু।অথচ নাগরীক সকল সুযোগ যাদের প্রাপ্য তারা পায়না কোন সুবিধ।এর একটাই কারণ জন্ম নিবন্ধনের বাইরে রয়ে যাচ্ছে কয়েক লাখ পথশিশু। মাঠ পর্যায়েও কার্যকর পদক্ষেপ নেই। এতে রাষ্ট্রীয় নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা।

নগরীর বটতলী রেল স্টেশন এই স্থানে ৬০ থেকে ৮০ পথশিশু বসবাস।সারাদিন এদের ছোটা ছূটি এই প্লাটফরম কে কেন্দ্র করে।

স্টেশনের মায়ের পাশে জড় সর করে বসে আছে ছোট শিশু ফাহাদ ।রক্তজবার মত পা তার। মনে হয়, স্বপ্ন দেখছে আগামীর ভবিষৎ এর । কিন্তু তাদের সাধের দুরত্ব রেললাইনের সিমানার মতোই, কী শৈশব, কী কৈশোর কিংবা বার্ধক্যে! পথশিশু নামের শহরজুড়ে পরিচয়হীন ঘুরে বেড়ানো এসব শিশুরা, মৌলিক নাগরিক অধিকার কিংবা সামাজিক নিরাপত্তার সকল সুরক্ষার বাইরে তা সবারই জানা। কিন্তু কোনভাবে, গায়ে-গতরে খেটে যে ওরা একটু শিক্ষিত হয়ে উঠবে তারও সুযোগ নেই। কারণ জন্ম সনদের আওতায় নেই তারা।

অন্যদিকে পথশিশুরা জড়াছে মাদকসহ নানা অপকর্মে ।৬ থেকে ১৬ ব ছরের শিশুরা সব চেয়ে বেশী মাদক আসক্ত।এবং এদের ব্যবহার করে চুরি ছিণ্ণতাই সহ নানা অপকমে জড়িয়ে যাছে পথশিশু।

জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থা ইউনিসেফের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দেশের ১০ লাখ কিংবা ঢাকার ৭ লাখ পথশিশুই রাষ্ট্রীয় এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত। অথচ এ নিয়ে নেই আইনের কোন ঘাটতি। ২০১৮ সালের জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা বলছে, পরিচয়হীন শিশুর বাবা-মা, জন্মস্থান ইত্যাদি না পাওয়া গেলেও নিবন্ধন করতে বাধা দেওয়া যাবে না। অসর্ম্পূণ স্থানে অপ্রাপ্য লিখে নিবন্ধন করতে হবে।

পথশিশুদের নিয়ে ২০২২ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল সেখানেও তাদের জন্মসনদের বিষয়টিকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।

মানবাধীকার কমিশন ইপসার প্রধান নির্বাহী আরিফুল ইসলাম বলছেন, আইন থাকার পরও মাঠ পর্যায়ের নিবন্ধন কর্মকর্তাদের গাফিলতিতে ভুগছে পথশিশুরা।

আইনজীবী  সুজন দে বলেন, ‘যখন পথশিশুদের এই জন্মসনদ দেয়া হচ্ছে না। তখন সে যেসব সামাজিক সুবিধা গ্রহণ করতে পারতো সেগুলো থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে।’

এদিকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয় বলছে, এ বিষয়ে নিবন্ধন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হলেও কার্যকরী ফল আসছে না। আর এখন পর্যন্ত কতজন পথশিশু নিবন্ধনের আওতায় এসেছে সেই পরিসংখ্যানও নেই তাদের কাছে।

চখ/জুইম

এই বিভাগের আরও খবর