chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

আজ নায়ক মান্নার ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী

বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক মান্না মৃত্যুর ১৬ বছর পরেও দর্শকদের মনের মধ্যে আছেন। মৃত্যুর এতো বছর পরও তার সিনেমাগুলো পছন্দ করেন দর্শকরা। মান্না অভিনীত সিনেমার বিভিন্ন কাট কাট অংশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়।

আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি নায়ক মান্নার ১৬ তম প্রয়াণ দিবস। ২০০৮ সালের এই দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি। মৃত্যুর ১৬ বছর পার হলেও জনপ্রিয়তার এতটুকুও ভাটা পড়েনি এ মহানায়কের।

ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি প্রবল ঝোঁক ছিল মান্নার। তাই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করার পর ঢাকা কলেজে পড়াকালীন ১৯৮৪ সালে ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমেই রুপালি জগতে পা রাখেন।

মান্না অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘তওবা’ হলেও তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার নাম ‘পাগলি’। তবে দর্শক নজরে পড়েন ১৯৯১ সালে মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত ‘কাসেম মালার প্রেম’ সিনেমাতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। এরপরই ধীরে ধীরে চলচ্চিত্রে একটি শক্ত অবস্থান গড়ে তোলেন তিনি। কাজী হায়াত পরিচালিত ‘দাঙ্গা’ ও ‘ত্রাস’ সিনেমাতে দুর্দান্ত অভিনয় করে মান্না হয়ে ওঠেন পরিচালক-প্রযোজকদের ভরসার নাম।

মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত ‘অন্ধ প্রেম’, মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘প্রেম দিওয়ানা’, ‘ডিস্কো ড্যান্সার’, কাজী হায়াত পরিচালিত ‘দেশদ্রোহী’ ছবিগুলো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাকে তুমুল জনপ্রিয় করে তোলে। ১৯৯৯ সালে মান্না ‘কে আমার বাবা’, ‘আম্মাজান’, ‘লাল বাদশা’র মতো সুপার-ডুপারহিট সিনেমা দর্শকদের উপহার দেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সাড়ে তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন জনপ্রিয় এ সুপারস্টার।

অভিনেতা হিসেবে সাফল্য পাওয়ার পর মান্না নিজে প্রযোজক হয়ে কৃতাঞ্জলি কথাচিত্র থেকে একাধিক সুপারহিট ছবি প্রযোজনা করেছিলেন। সিনেমাগুলো হচ্ছে ‘লুটতরাজ’, ‘লাল বাদশা’, ‘আমি জেল থেকে বলছি’, ‘স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘দুই বধূ এক স্বামী’, ‘মনের সাথে যুদ্ধ’, ‘মান্না ভাই’ ও ‘পিতা মাতার আমানত’।

অভিনেতা হিসেবে একবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, তিনবার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার, পাঁচবার বাচসাস পুরস্কারসহ বিভিন্ন সম্মাননা পেয়েছেন মান্না।

তবে মৃত্যুর এতো বছর পরও নায়ক মান্নার শেষ সিনেমা ‘জীবন যন্ত্রণা’ আলোর মুখ দেখেনি। শোনা যাচ্ছে, চলতি বছর সিনেমাটি মুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে।

এ বিষয়ে সিনেমাটির প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু বলেন, এরইমধ্যে ‘জীবন যন্ত্রণা’ সিনেমাটি ৩৫ মি.মি. থেকে ডিজিটালে রূপান্তরের কাজ চলছে। বলা যায়, কাজ শেষ পর্যায়ে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছর বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর) ছবিটি মুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান প্রযোজক।

জানা গেছে, ২০২১ সালের অক্টোবরে সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে ‘জীবন যন্ত্রণা’ সিনেমাটি। প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরুর সঙ্গে ছবিটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন জাহিদ হোসেন। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মৌসুমী, পপি, শাহনূর, মুক্তি, দীঘি, বাপ্পারাজ, আলীরাজ, আনোয়ারা, শহিদুল আলম সাচ্চু, মিশা সওদাগর প্রমুখ।

 

 

 

 

 

তাসু/চখ