কবজিতে ব্যথা নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার মতো ঘটনা ইদানীং বাড়ছে। সাধারণত বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনীতে বেশি ব্যথা অনুভূত হয়। কখনো বৃদ্ধাঙ্গুলের পাশ দিয়ে ওপরের দিকে ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে। রাতে ঘুমের মধ্যে হাত অবশ হয়ে আসে বা ঝিঁঝিঁ করে। কখনো ঘুম ভেঙে যায়।
কবজির বা বৃদ্ধাঙ্গুলির ব্যথা অনেক কারণে হতে পারে। ডিকোয়ারভ্যান টেনো-সাইনোভাইটিস এর মধ্যে অন্যতম। আমাদের কবজি থেকে বৃদ্ধাঙ্গুলির দিকে যে টেনডন বা রগ থাকে, তাতে প্রদাহ হলে তখন এটিকে ডিকোয়ারভান টেনো-সাইনোভাইটিস বলে। সাধারণত মধ্যবয়স্ক নারীরা এই সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হন।
এ ধরনের প্রদাহ নানা কারণে হতে পারে। যেমন ১. আঘাতজনিত ২. হাত দিয়ে ভারী কিছু ওঠানো ৩. রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ৪. একটানা লেখালেখি করা ৫. দা, কোদাল বা কুড়াল দিয়ে কাটাকাটি করা ৬. ড্রিল মেশিন ব্যবহার করা ইত্যাদি।
লক্ষণ
- আক্রান্ত রোগী হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল সহজে নাড়াতে পারেন না
- কাপড়চোপড় চিপাতে গেলে ব্যথা পান
- হাত দিয়ে ভারী কিছু ওঠাতে পারেন না
- বুড়ো আঙুলের গোড়ায় মাংসপেশি অনেক সময় শুকিয়ে যায়
- আঙুল বেশ দুর্বল হয়ে পড়ে এবং কাজ করলে ব্যথা বাড়ে
- ব্যথা অনেক সময় কবজি থেকে ওপরের দিকে উঠতে থাকে।
চিকিৎসা
- ওষুধের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা বেশ কার্যকর। এ ছাড়া কারণ শনাক্ত করে তার সুরাহা করতে হবে। জরুরি কিছু ক্ষেত্রে ইনজেকশন দেওয়াও লাগতে পারে।
- ব্যথা না কমা পর্যন্ত কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে।
- হাতের কবজির ওপর চাপ পড়ে এমন কাজ পরিহার করতে হবে।
- হাত দিয়ে ভারী কিছু ওঠাবেন না।
- কাপড়চোপড় চিপবেন না বা টিউবওয়েল চাপবেন না।
- একটানা বেশিক্ষণ লেখালেখি বা কম্পিউটারে টাইপ না করা ভালো।
- ড্রিল মেশিন ব্যবহার করা উচিত নয়। কাজের সময় রিস্ট-ব্যান্ড ব্যবহার করুন।
তাসু/চখ