চট্টগ্রামের ডিসি পার্কে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সাম্পান বাইচ
ঘড়ির কাঁটা তখন চারটা ছুঁইছুঁই। চট্টগ্রামের ডিসি পার্কে সংল্গন কর্ণফুলী নদীর তীরে সাম্পান একই রেখায় অবস্থান করছে। প্রতিটি সাম্পানে নয়জন করে মাঝিমাল্লা। সবার অপেক্ষা হুইসেলের। পাঁচটা বাজতেই হুইসেল বেজে ওঠে। শুরু হয় সাম্পান বাইচ। ঘামঝরানো দাঁড় বেয়ে চলেছেন মাঝিমাল্লারা। লক্ষ্য আগেভাগে নদীর দক্ষিণ পারে কর্ণফুলী থানার চরপাথরঘাটা ছোঁয়া।
আজ শনিবার বিকেলে কর্ণফুলী নদীতে সাম্পান বাইচ দেখতে বিভিন্ন বয়সের হাজার হাজার নারী-পুরুষ ভিড় করে। বৈঠা নৌকা, ইঞ্জিনচালিত সাম্পান, নৌকা কিংবা স্পিডবোট নিয়ে নদীতে ঘুরে বেড়িয়েছে তারা। সবাইকে ছাড়িয়ে সাম্পান বাইচে প্রথম হয় জাহাঙ্গীর মাঝির দল। গতবারও এই দলটি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
মাস ব্যপি ডিসি পার্কে ফুল উৎসব উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক সাম্পান বাইচ আয়োজন করেন।অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড.আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এতে সহযোগিতা করেন সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন।
বাইচ দেখতে গতকাল দুই শতাধিক ছোট–বড় নৌকা ও সাম্পান নিয়ে নদীতে ভিড় করে দুই পারের লোকজন। এ ছাড়া দুই পারেও ছিল হাজার হাজার মানুষ।
নদীর দক্ষিণ পারের বাসিন্দা মোবারক হোসেন একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে পরিবার নিয়ে বাইচ দেখতে আসেন। তিনি বলেন, মাঝিমাল্লারাও সবাই পরিচিত, তাই সাম্পান বাইচ দেখতে এসেছেন।
কোনো কোনো দর্শনার্থীর নৌকায় বাঁধা ছিল মাইক। সেখান থেকে ভেসে আসছিল কর্ণফুলী ও সাম্পান মাঝি নিয়ে লেখা জনপ্রিয় বিভিন্ন আঞ্চলিক গান। ‘ওরে সাম্পানওয়ালা, তুই আমারে করলি দিওয়ানা’ কিংবা ‘কর্ণফুলীরে সাক্ষী রাখিলাম তোরে’ এসব গানের তালে তালে নেচে–গেয়ে আনন্দ করেন তরুণ-তরুণীরা। এ ছাড়া বেজেছে ঢোলসহ নানা বাদ্যযন্ত্র।
চখ/জুইম