বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, ‘গ্যাসের স্বল্পতা রয়েছে। বর্তমানে একটি সংকট রয়েছে, তবে এটা সাময়িক। আশা করছি, কয়েক দিনের মধ্যেই এ সংকট দূর হবে। গ্যাসের সরবরাহ বাড়বে।’
তৃতীয় মেয়াদে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে প্রথম সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের চলমান কার্যক্রম ও গতিশীলতা ধরে রাখতে চায় মন্ত্রণালয়। তবে চ্যালেঞ্জ আছে অনেক। দিন তারিখ ঠিক করে নয়, টার্গেট দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানো।’
ভোলা-বরিশাল পাইপলাইন তৈরি করার টার্গেট রয়েছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ‘আরও ১০০টি কূপ খনন করা হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি কূপ খনন করা হবে। আশা করছি, ২ বছরের মধ্যে ৫০০ এমএমসিএফ (মিলিয়নঘনফুট) যোগ করা যাবে। এলএনজি আমদানিও বাড়বে। গ্যাস ম্যানেজমেন্ট ও মাস্টারপ্ল্যান করা হচ্ছে। বিবিয়ানায সম্ভাবনা রয়েছে, ১ দশমিক ছয় টিসিএফ (ট্রিলিয়ন ঘনফুট) পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শেভরন সেখানে কাজ করছে।’
‘গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধান করার বিষয়ে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানকে আনতে চাই। সেটি নিয়ে কাজ চলছে। মার্চের প্রথম সপ্তাহে এফএসআরইউ (ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল) আসবে। ২০২৬ এর মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস দেওয়ার টার্গেট রয়েছে। আমদানি বড় করতে চাই না’, যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।
আগামী তিন চার মাসের মধ্যে হরিপুরের তেলের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিপিসির পাইপলাইন কার্যক্রম চলমান আছে। সেটি দ্রুত শেষ করা হবে। ’
নসরুল হামিদ বলেন, ‘বিদ্যুতের জন্য চ্যালেঞ্জ আছে। রোজা ও সেচ মওসুম শুরু। যে চাহিদা থাকবে সেটি পূরণে চেষ্টা হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস, তেল ও কয়লার সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে সমস্যা হবে না।বিশ্ববাজারে কেমন পরিস্থিতি হয় সেটাও দেখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অতিরিক্ত ১৩ বিলিয়ন খরচ করতে হয়েছে তেল/গ্যাস ও কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায়। সেখান থেকে বেটার অবস্থায় আছি। আশা করা যায়, সামনে সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যাবে। কয়লা উত্তোলনে একটি পরিকল্পনা রয়েছে। তবে কৃষি জমি ও পরিবেশ রক্ষা করে কীভাবে করা যায় সেটি দেখতে হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নবায়ন নিয়ে পরিকল্পনা রয়েছে। সেগুলো নিয়ে কাজ চলছে। আশা করছি, নবায়ন নিয়ে যে টার্গেট ৪০ ভাগ করা সেটি পূরণ হবে।’
দেশে জ্বালানি তেলের দামের বিষয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ‘বাড়ানো বা কমানো বিষয় না, ডায়নামিক প্রাইস করার কাজ চলছে। কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
বিদ্যুৎ, জ্বালানি খাতের দায়মুক্তি আইনের বিষয়ে তিনি বলেন, বিশেষ আইন আছে বলেই কাজ করা যাচ্ছে। দুর্নীতি কমাতে অনলাইন/ প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। আইন ব্যবহারে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেই কাজ করা হবে।
ফখ|চখ