chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রামে লাগামছাড়া নিত্যপণ্যের দাম

নির্বাচনের পর চট্টগ্রামে দাম বেড়েছে চাল ডাল থেকে শুরু করে নিত্য নিত্যপণ্যের বাজারে। রমজানের বাকি আরও দুই মাস। তবে এর আগেই প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে।সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকার পরও চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে বস্তাপ্রতি চালের দাম।

চট্টগ্রামের পাহাড়তলী পাইকারি বাজারে দিন দশেক আগেও মোটা চাল বিক্রি হয়েছিলো বস্তাপ্রতি ২ হাজার ৪শ’ টাকা। যা এখন বাজারে ২৫শ’ টাকা।

এছাড়া বস্তাপ্রতি মিনিকেট ২ হাজার ৬০০ টাকা, জিরাশাইল ৩ হাজার ৫০ থেকে ৩ হাজার ৩৫০ টাকা, নাজির শাইল ৩ হাজার ৫৫০, কাটারি আতপ ৩ হাজার ৪০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সব ধরনের চালের দাম বস্তাপ্রতি বেড়েছে ৮৫ থেকে ১০৫ টাকা পর্যন্ত। কেজিপ্রতি যা ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সব ধরনের চাল।

শীত মৌসুমে বাজারে দেখা মেলে নানা জাতের নতুন আলু। তাই অনেকটা নাগালের মধ্যেই থাকে দাম।কিন্তু এবার শীতে বাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে আলু। মৌসুমে যখন আলুর দাম কমার কথা তখন ঘটছে উল্টো। সব বাজারেই নতুন ও পুরানো আলুর দাম চড়া। বেশির ভাগ জায়গায় বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজিতে। পৌষের হিম শীতল দিনে এর দাম মেটাতেই যেন গলদঘর্ম হচ্ছেন ক্রেতারা।

এছাড়া শিতের সবজিতে কিছুটা স্বস্তিতে থাকলেও বাড়তির তালিকায় মাছ ও মাংস। সব ধরনের মাছে ভোক্তাকে কেজিতে বাড়তি গুনতে হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। এদিকে শীতের সবজির দাম সামান্য কমলেও তা আশানুরুপ নয়।
ভোর হতেই সিরাজগঞ্জের পৌর পাইকারি আড়তে আসতে শুরু করে হরেক রকমের সবজি। শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় সব ধরনের সবজিতে দাম কিছুটা কমতির দিকে। কেজিপ্রতি ২ থেকে ৫ টাকা কমে শিম বিক্রি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, আলু ৪৮-৫৫ টাকা, ফুলকপি পিস ৩৫ টাকা, বাধাকপি ১৫ টাকা ও টমেটো মিলছে ৩৫ টাকা।

মসলা জাতীয় সবজি আদার দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকায়। তবে ভরা মৌসুমেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে আলু ও পেঁয়াজ।

আড়তে দাম কিছুটা বেশি। সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের মাছ পাইকারিতে কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, মাছের খাদ্যের দাম বৃদ্ধি, পরিবহন খরচ বাড়ায় প্রভাব পড়েছে দামে।

মাছ ব্যবসায়ীরা শরিফ জানান, শীতকালে মাছের যোগান কিছুটা কম থাকে। এছাড়া মাছের খাদ্যের দাম এবং পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় মাছের দাও বাড়তি। তাই মাছের দাম বাড়ায় বাজারের তালিকায় কাটছাঁট করছেন অনেকেই।

এদিকে দু’ সপ্তাহ ব্যবধানে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ টাকা। এক কেজি মাংস কিনতে গুণতে হচ্ছে ৭৫০ টাকা।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রমজানের প্রয়োজনীয় পণ্য ছোলা, খেসারির ডাল, মশুর ডাল, অ্যাংকর, বেসন, ডাবলি, চিনিসহ সব পণ্যই গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। শুধুমাত্র ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে আগের দামে।

বিক্রেতা আজাদ বলেন, আগে ছোলা ৮৫ থেকে ৯০ টাকা বিক্রি করতাম। এখন ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। তবে রমজান মাসে আবার আগের দামে চলে আসবে আশা করি। চিনি ১৩৫ টাকায় কিনে ১৪০ টাকায় বিক্রি করছি।

পাইকারি বাজারে গত সপ্তাহেও ছোলা বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৮৫ টাকা, যা এখন বাজারভেদে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা। আর গত রমজানে ছোলার দাম ছিলে ৭৫ টাকা। আর ডালভেদে মশুর, মুগ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। রমজানের অনেক আগেই দাম বেড়ে যাওয়ায় হতাশ ক্রেতারা।

আমজাদ হোসেন ক্রেতা বলেন, রমজানের প্রয়োজনীয় যে জিনিসপত্র আছে সবকিছুর দাম বেড়েছে। দরিদ্রদের জন্য খুব কষ্ট হয়ে যাবে। সবজির দামও আগের সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে বেশি।

চখ/জুঈম

 

এই বিভাগের আরও খবর