chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রাম মেডিকেলের ক্যান্সার ভবনের কাজের অগ্রগতি ৬৯ শতাংশ

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতাল (চমেক) হাসপাতালে দ্রুত ১৫ তলা বিশিষ্ট ক্যান্সার ভবনের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ৬৯ শতাংশ অবকাঠামোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যেই সেবা প্রদান শুরু হতে পারে দাবী সংশ্লিষ্টদের।

এ প্রসঙ্গে প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী রাহুল গুহ বলেন,‘দ্রুত গতিতে চলছে ক্যান্সার ভবনের কাজ। ইতোমধ্যে ৬৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ১৫ তলার ভবনের মধ্যে ১৪ তলায় কাজ প্রায় শেষ দিকে। শীঘ্রই অবকাঠামোর কাজ সম্পন্ন হবে।

তিনি বলেন, প্রকল্পের টেন্ডার হয় ২০১৮ সালে। তখনকার দাম আর বর্তমান দামের পার্থক্য অনেক। যার কারণে আগের বাজেট নিয়ে কাজ করা যাচ্ছে না। বাজেট বাড়ানো হয়েছে। একই সাথে ২০২২ সালে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তার মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৪ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে। আশা করি এই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে।’

জানা গেছে, চট্টগ্রামসহ ৮টি বিভাগীয় শহরের (ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও খুলনা) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একশ শয্যার একটি করে ক্যান্সার ইউনিট স্থাপনে এ প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) একনেকে অনুমোদন পায় ২০১৯ সালে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে গণপূর্ত বিভাগ। চমেক হাসপাতালের প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৩৮৮ কোটি ২৯ লক্ষ ৮১ হাজার। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের সময়সীমা ধরা হয়েছে। কিন্ত ২০২৪ সাল পর্যন্ত মেয়াদ বাড়াতে আবেদন জানানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। একই সাথে বাজেট বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। ভবনটির ২ বেইসমেন্ট ১৫ হাজার ৫৫০ বর্গফুট, নিচ তলা ১৬ হাজার বর্গফুট, দি¦তীয় তলা ১৪ হাজার ৯৪২ বর্গফুট, তৃতীয় তলা ১৬ হাজার ৯৬ বর্গফুট। এছাড়া চতুর্থ তলা ১৬ হাজার ৯৬ বর্গফুট, পঞ্চম থেকে পনের তলা ১৪ হাজার ৮৮৬ হাজার বর্গফুটসহ ১৭ তলা বিশিষ্ট ভবনটি সর্বমোট ২ লক্ষ ৬০ হাজার বর্গফুটের।

ভবন নিয়ে ভিন্ন সুরে কথা বললেন চমেক হাসপাতালের ক্যান্সার বিভাগের একাধিক চিকিৎসক। তারা জানান, আমরা শুনেছি কমপ্রেনহেনসিভ ক্যান্সার কেয়ার ইউনিট করা হবে। যদি তাই হয় তাহলে এখানে ক্যান্সার চিকিৎসার সকল পরীক্ষার নানা সুবিধা পাবেন রোগীরা। হাসপাতালে কমপ্রেনহেনসিভ ক্যান্সার কেয়ার ইউনিট করা হলে রোগীদের আর বিদেশ এবং বেসরকারি হাসপাতালে ছুটতে হবে না।

কিন্ত এই ‘ক্যান্সার ইউনিটে’ নেই বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট, মনিকুলার ল্যাব, ইন্টারভেনশনাল ইমেজিং কনসালটেন্ট অ্যান্ড ইউনিট, ইমারর্জেন্সি রুমসহ আরও বেশ কিছু দরকারি উপাদান। ফলে পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার সেবা রোগীরা পাবে না। তাই আমাদের দাবি, এ ইউনিটে সকল আধুনিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হোক।

এছাড়া আলাদা ইমারর্জেন্সি সার্ভিস করার দাবি জানিয়ে তারা জানান, ‘একজন রোগীর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, বমি করছে, জরুরি অক্সিজেন দরকার পড়ছে। এরকম অবস্থায় হাসপাতালের ইমার্জেন্সি থেকে ক্যান্সার ইউনিটে নিয়ে আসা খুবই ভোগান্তি হবে। তার জন্য আউটডোর বা ইমার্জেন্সি খুবই দরকার। এসব সরঞ্জাম ছাড়া ক্যান্সার রোগীরা পূর্ণাঙ্গ সেবা পাবে না। গরিব রোগীদের ব্যয়বহুল স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে এসব সরঞ্জাম খুব প্রয়োজন।’

কাজ এগিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন,‘ চট্টগ্রামে ক্যান্সার চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে সীমিত পরিসরে। আশা করি চলতি বছরের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করে সেবা প্রদান শুরু হবে।

নচ/ফখ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর