chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রামে পোস্টার-লিফলেট-মাইকিংয়ে জমজমাট প্রচারণা

ব্যানার, পোস্টার, লিফলেট আর মাইকিংয়ে এখন চট্টগ্রামে চলছে জমজমাট নির্বাচনী প্রচারণা। আর এর যোগান দিতে দিনরাত কাজ চলছে ছাপাখানাগুলোতে। চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মাইক সার্ভিসগুলো।
নির্বাচনী পোস্টার, লিফলেট ছাপার কাজে এখন সরগরম চট্টগ্রামে নগরীর প্রেসপাড়া আন্দরকিল্লাহ । মেশিনের আওয়াজ আর মালিক-শ্রমিকদের হাঁকডাকে মুখর এলাকা।

সকাল থেকে শুরু হয়ে রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত একটা টানা কাজ করতে হচ্ছে শ্রমিকদের। বেড়েছে আয়ও। শ্রমিকরা বলছেন , ‘ভালো কাজ থাকায় ওভারটাইম করতে পারছি। বেশি আয়ের সুযোগ হয়।’

তবে এবার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পোস্টার, ব্যানার, স্টিকার, হ্যান্ডবিল তৈরির চাহিদা বেড়েছে। নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে বিপরীতে ১২০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, সুপ্রিম পার্টি, তরিকত ফেডারেশনসহ বিভিন্ন দলীয় প্রার্থী রয়েছেন ১০৩ জন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন ১৭ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অধিকাংশই হেভিওয়েট, যার প্রভাব পড়েছে ছাপাখানাগুলোতে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই বেশি অর্ডার দিচ্ছেন ব্যানার-পোস্টার ছাপানোর।

শুধু পোস্টার লিফলেট ছাপার কাজেই ৫০ কোটি টাকা লাভের আশা তাদের। চট্টগ্রাম প্রেস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল হারুণ বলেন,  ‘আগে ছাপা এবং লাভসহ ১ হাজার টাকায় আমরা পোষ্টার ডেলিভেরি করতে পেরেছি। এবছর তার চেয়ে ২০০ টাকা বেশি দরে শুধু কাগজ কিনতে হচ্ছে। আগে যে প্রার্থী পাঁচ লাখ পোষ্টার এর কথা ভাবতেন। তিনি এবার বাজেট সংকোচন করছেন।’

একেকটি ছাপাখানায় প্রতিদিন প্রায় দুই লাখ নির্বাচনী পোস্টার ছাপা হচ্ছে। প্রতিটি মেশিনে ছাপার কাজ করেন দুই থেকে তিন জন। কাটিং ও বাইন্ডিং এর জন্য প্রয়োজন হয় আলাদা লোকবল। ছাপাখানার মালিকরা জানান, অন্যবারের চেয়ে পোস্টার লিফলেট এর অর্ডার আসছে বেশি।নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২০০ কোটি টাকার বাণিজ্য হবে বলে জানিয়েছেন ছাপাখানাসংশ্লিষ্টরা।

প্রতিদিন দুপুর ২টার আগে বাজারে মাইকের দোকানের সামনে গাড়ির ভিড় জমে যায়। অটোরিক্সায় মাইক বেঁধে ছড়িয়ে পরে নির্বাচনী এলাকায়। ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকার ব্যবসা হতে পারে বলে ধারণা ব্যবসায়ীদের। নির্বাচন কেন্দ্র করে চাঙ্গা ভোটের বাজারে অর্থের চলাচল যেমন বেড়েছে তেমনি এর প্রভাব পড়েছে স্থানীয় অর্থনীতিতেও। নির্বাচনকেন্দ্রিক বাড়তি আয়ের সুযোগও হয়েছে অনেকের।

চখ/জুইম

এই বিভাগের আরও খবর