chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ধর্ষকদের হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে পরিবার, শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক : নগরীর বায়েজিদ এলাকায় ধর্ষণের শিকার ১৬ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা তুলে নেওয়ার জন্য পরিবারকে হুমকি ও হত্যার ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ করেছে কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন। তাদের হুমকিতে নাবালিকার পরিবার পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে জানিয়ে হুমকিদাতাদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম। 

মঙ্গলবার (৭ জুলাই) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সার্ক মানবধিকার ফাউন্ডেশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান এস এম আজিজ।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২৮শে জুন স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত Ôগার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ২’ শীর্ষক খবরের ভিত্তিতে মানবাধিকার সংগঠনের এক প্রতিনিধিদল গত বুধবার ১ জুলাই বায়েজিদ এলাকায় ধর্ষিতার বাড়ি যান ঘটনার তদন্তে এবং সেখানে গিয়ে নাবালিকা মেয়েটির বক্তব্য লিপিবদ্ধ করেন। মেয়েটি জানান গত ২৭শে জুন রাতে সে তার খালার বাসা হতে নিজ বাসায় ফিরছিলেন,পথিমধ্যে আনোয়ার এবং হেলাল জোরপূর্বক তাকে ধরে পার্শবর্তী পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাই এবং মুখ বেঁধে দুজনে মিলে ধর্ষণ করে ও ধর্ষণের সময় ধর্ষকরা এ ঘটনা কাউকে না জানাতে ধাঁরালো অস্ত্র দেখিয়ে তাকে হত্যার ভয় দেখায়। পরে কিশোরীর চিৎকার শোনে স্থানীয় এলাকাবাসী জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে বায়েজিদ থানার একটি টিম গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

তিনি আরো বলেন, মামলার বাদী ধর্ষিতা কিশোরীর মা পাখি বেগম মানবাধিকার সংগঠনকে জানান অভিযুক্তদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতা আব্দুল নবী লেদু ,শফিকুল ইসলাম শফি,গোলাম রসূল সাদ্দাম,ফাহিম তানভীর আহমেদ,হাবিবুর রহমান দুলাল,আলাল মামলার পরবর্তীতে প্রাথমিক পর্যায়ে টাকা দিয়ে ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা করে। তারা এতে ব্যর্থ হয়ে তাকে মেরে ফেলাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন। বর্তমানে বাদী ও ভিকটিম প্রাণনাশের ভয়ে এক আত্বীয়ের বাসায় আত্বগোপনে আছেন। মামলা করার সময় উপরে উল্লেখিত ব্যক্তি তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা থানায় মামলা না করার জন্য হুমকি-ধমকি প্রদর্শন করে। আমরা মানবাধিকার সংগঠন গভীর উদ্যেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, এ রকম একটি হীন ন্যাক্কারজনক ধর্ষণ ঘটনার পরও আসামী পক্ষের আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতাদের এই রকম আস্ফালন এবং বাদি ও ভিকটিমের নিরাপত্তাহীনতা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং আইনের শাসনের প্রতি সু-স্পষ্ট বৃদ্ধাআঙ্গুলী প্রদর্শন।

তিনি বলেন, ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে, আদালতে সু-স্পষ্ট জবানবন্দি প্রদান করেছে। মেয়েটি ও তার পরিবার ধর্ষকের কঠোর শাস্তি চাই। মানবাধিকার সংগঠন এই বর্বরোচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং ধর্ষনকারী ও তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দানকারীদের দ্রুত বিচারের আত্ততায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

এসময় আসক চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির জেনারেল প্রেসিডেন্ট এমদাদুল করিম, ফুটন্ত কিশোর সংগঠনের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, মো. বাবলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

এএমএস/

এই বিভাগের আরও খবর